দেড় দশক পর ভারী তুষারপাত সান্দাকফু-লাচুংয়ে, সাক্ষী হতে ঘুরে আসুন আপনিও
দক্ষিনবঙ্গ থেকে বিদায় নিয়েছে শীত। ভোর ও রাত হাঁসফাঁস দশা না হলেও দুপুরে কার্যত নাভিশ্বাস উঠছে আমজনতার। তবে উত্তরের ছবিটা একেবারেই ভিন্ন। দার্জিলিংয়ে এখনও জবুথবু পর্যটকরা। রবিবারের পর সোমবারেও সিকিমের লাচুংয়ে তুষারপাতের সাক্ষী হলেন পর্যটকরা। সাদা বরফে মুড়ল চারপাশ।
ভ্রমণ পিপাষু বাঙালীর কাছে বরাবরই পছন্দের ডেস্টিনেশন দার্জিলিং, সিকিম। তাতে যদি তুষারপাত দেখা যায়, তাহলে তো কোনও কথাই নেই। বর্তমানে যে পর্যটকরা উত্তরবঙ্গ ও সিকিমে রয়েছেন, তাঁদের এই মনবাসনা পূর্ণ করল প্রকৃতি। ফেব্রুয়ারির শেষেও সোমবার সকালে লাচুংয়ে তুষারপাতের সাক্ষী হলেন পর্যটকরা। পথঘাট, গাছপালা ঢাকল বরফের সাদা চাদরে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতেও বরফের পুরু আস্তরণ।
পর্যটকরা বলেন, “এই সময়ে তুষারপাত দেখতে পাব সেই আশা ছিল না। কিন্তু রবিবার আর সোমবার দু’দিনই তুষারপাত পেয়েছি। পাহাড় সফরের আনন্দ যেন কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে।” বরফ নিয়েই খেলায় মেতেছেন পর্যটকরা। লাচুংয়ের মতো পরিস্থিতি সান্দাকফুতেও। দার্জিলিংয়ে তুষারপাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়নি ঠিকই। তবে ফেব্রুয়ারির শেষভাগে এসেও জবুথবু দশা। তাপমাত্রার পারদ নিম্নগামী। যাঁরা এই মরশুমে পাহাড় যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন, তাঁরা চটপট কেটে ফেলুন টিকিট, গুছিয়ে নিন ব্যাগ। ভাগ্য সহায় হলে হয়তো এ যাত্রাতেই সাক্ষী হয়ে যাবেন তুষারপাতের। সূত্রের খবর, প্রায় দেড়দশক পর এত ভারী তুষারপাত হল সান্দকফু, লাচুংয়ে।