img

সরকারিভাবে সৌদি আরবে হজে গিয়ে ভিক্ষা করার অভিযোগে দেশে ফিরে গ্রেফতার হওয়া সেই মতিয়ার রহমান ওরফে মিন্টুকে (ফকির) জামিন দিয়েছেন আদালত। রোববার (০৭ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদ এ আদেশ দেন।

সকালে মিন্টুর আইনজীবী তার জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন জানান। পরে শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন।

গত ৫ আগস্ট হজ শেষে ফেরার সময় ঢাকার বিমানবন্দর থেকে ৫৪ ধারায় তাকে গ্রেফতার করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরদিন শনিবার (৬ আগস্ট) আদালতে মিন্টুকে হাজির করা হয়। এসময় আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ৫৪ ধারার আবেদনে বলা হয়, আসামি গত ১৮ জুন ধানসিঁড়ি ট্রাভেলসের মাধ্যমে হজের উদ্দেশে সৌদি আরব যান। এরপর হজ না করে ভিক্ষাবৃত্তি শুরু করেন। ভিক্ষাবৃত্তির খবর পেয়ে মদিনা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এরপর হজ পুলিশের এজেন্সির মাধ্যমে জামিনে মুক্তি পান। বিষয়টি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়। এতে দেশের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়।

এ ঘটনায় হজযাত্রীকে সৌদিতে পাঠানো ধানসিঁড়ি ট্রাভেলস এয়ার সার্ভিস নামে হজ এজেন্সিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়।

গ্রেফতার হওয়া সেই হজযাত্রীর নাম মতিয়ার রহমান। তার বাড়ি মেহেরপুরের গাংনীতে। রোববার (২৬ জুন) হজ সম্পর্কিত ওয়েব সাইটে এক নোটিশের মাধ্যমে বাংলাদেশ হজ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করে।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ-১ শাখার উপসচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীনের সই করা কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়েছে, ধানসিঁড়ি ট্রাভেলসের পাঠানো মতিয়ার রহমান নামে ওই ব্যক্তি গত ২২ জুন বিকেল ৫ টার দিকে মদিনা শরীফে ভিক্ষা করার সময় সৌদি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। ঘটনা জানার পর বাংলাদেশ হজ মিশনের একজন কর্মী থানায় মুচলেকা দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে আনেন।

নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, ওই যাত্রী ‘সৌদি আরবে ব্যাগ ছিনতাই হয়েছে’ বলে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে ভিক্ষা করছিলেন। এতে সৌদিতে বাংলাদেশের ভাবমর্যাদা দারুণভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে। পরে তদন্তে জানা যায়, ধানসিঁড়ির সেই হজযাত্রীকে গাইড করার মতো সৌদিতে কোনো মোনাজ্জেম এবং তার বসবাসের বাড়ি কিংবা হোটেলও ছিল না। এ ধরনের কাজের জন্য হজ এজেন্সিটির বিরুদ্ধে কেন প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে না; তা তিন কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যাসহ জানতে চেয়েছে মন্ত্রণালয়।

এই বিভাগের আরও খবর