‘অদ্ভুত চা খোর’ গল্প অনেক আগেই পড়েছি আমরা। এটাও জানি যে, চায়ের জন্য বাঙালি অনেক কিছুই করতে পারে। কারণ বাঙালির চা বিলাস আজ নতুন কিছু নয়। গ্রাম কিংবা শহরের চায়ের দোকানের হাজারো গল্প আমাদের চিরচেনা। তবে বিপজ্জনক চা খাওয়ার গল্প হয়তো এবারই প্রথম।

চায়ের কাপে ঝড় তোলা বাঙালি কি বিশ্বের সবচেয়ে ‘বিপজ্জনক’ চা খাওয়ার চেষ্টা করবেন কখনো? তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ এই চায়ে কোনও বিষাক্ত উপাদান মেশানো নেই। কিন্তু এই চা খেতে আপনাকে যেতে যেখানে, সেখানেই ওঁৎ পেতে আছে বিপদ।

একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সন্ধান পাওয়া যায় এই দোকানের। সেখানকার চা খেতে গেলে আপনাকে উঠতে হবে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭ হাজার ফুট উপরে! শুধু তাই নয়, সেই পথও অনেক ভয়ঙ্কর। চীনের প্রধান পাঁচটি পর্বতের অন্যতম ‘মাউন্ট হুয়া’। সেখানে পাওয়া যায় এই চা।

তবে একটু পথের বর্ণনা দেওয়া যাক- মাউন্ট হুয়াতে একাধিক ধর্মের মন্দির রয়েছে। তারই অন্যতম একটি মন্দির অবস্থিত একেবারে দক্ষিণের চূড়াতে। সেই প্রাচীন স্থানেই চায়ের দোকান। সেখানে যেতে হলে শিয়ান থেকে হুয়াশানে ২ ঘণ্টা ট্রেক করে যেতে হবে। এটাই সফরের সবচেয়ে সহজ অংশ।

এরপরই শুরু হয় আসল যুদ্ধ। পাহাড়ের চূড়ায় ওঠার পথ অত্যন্ত সংকীর্ণ ও বিপজ্জনক। কাঠের মচমচে পথের ধারে কোনও রেলিং বা কিছু নেই। উঠতে গিয়ে প্রতি পদে পদে ভয়। একটু পা ফসকে গেলেই জীবনের সব শেষ। এখানেই শেষ নয়। একেবারে শেষে এসে কাঠের পথের ওই অংশটুকু চেন ধরে ঝুলে যেতে হবে।

তাহলে এবার মনে হতেই পারে, কী এমন চা? প্রতিবেদনের দাবি, এই চা অত্যন্ত সুস্বাদু। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, এই চা বানানো হয় বরফের কুচি, বৃষ্টির পানি ইত্যাদি মিশিয়ে। এর আগে একটি বিচিত্র নিয়ম ছিল। পানিও নিজেকেই সঙ্গে করে নিয়ে যেতে হতো।

সে যা-ই হোক, সেখানে যান বা না যান সমস্যা নেই। আপাতত ভিডিওটি দেখে নিন—