শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডেই দেখতে পাওয়া যায় এদের। কিন্তু, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীর বুক থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে বসেছে এরা।

অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব প্রান্তের সমুদ্র সৈকতেই শুধুমাত্র পাওয়া যায় তাদের। নাম ‘মেরি রিভার টার্টল’। মাথায় মো-হক স্টাইলের চুল। তাও আবার সবুজ রংয়ের। তাই তাকে ‘পাঙ্ক টার্টল’ও বলা হয়। 

‘ট্রিহাগার’ নামে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সে দেশের কুইন্সল্যান্ডের এই প্রাণী নিঃশ্বাস নিতে পারে যৌনাঙ্গ দিয়ে। এমন প্রক্রিয়ার ফলে, এই প্রজাতির কচ্ছপ জলের তলায় কাটাতে পারে টানা তিন দিন। 

১৯৯০ সালেই এই প্রজাতির কচ্ছপ স্বীকৃতি পায় এক আলাদা ধরনের প্রাণী হিসেবে। কিন্তু, দুঃখের কথা হল, প্রথম ৩০টি বিপন্ন প্রাণীর মধ্যে রয়েছে এই মেরি রিভার টার্টল। সম্প্রতি, লন্ডনের জুওলজিক্যাল সোসাইটি-র একটি বিভাগ ‘এজ’ এই তালিকা প্রকাশিত করেছে। 

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মেরি রিভার টার্টল জলে ও স্থলে, দু’ জায়গাতেই শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে পারে। এবং জলের তলায় গিয়ে নিঃশ্বাস নেওয়ার প্রক্রিয়ার জন্য এদের ‘বাট ব্রিদার’ও বলা হয়। 

আকারে খুব বেশি হলে ৪০ সেন্টিমিটার মতো হয়। এবং লাগাতার জলের তলায় থাকার ফলেই এদের মাচায় গজিয়ে ওঠে শ্যাওলা। 

৬০ ও ৭০ দশকে, মানুষ এদের পুষ্যি হিসেবে রাখতে পছন্দ করত। তার ধাক্কায় এদের সংখ্যা খুবই কমে গিয়েছে। কারণ, এই মেরি রিভার টার্টলদের প্রজনন ক্ষমতা হয় ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সে। যার ফলশ্রুতি, এই কচ্ছপরা হয়ে পড়ছে বিপন্ন প্রজাতির।

ভিডিও ইউটিউব থেকে (অস্ট্রেলিয়ান জিওগ্রাফিক)