অস্ট্রেলিয়ায় আবারও সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী
অস্ট্রেলিয়ায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ কমে প্রায় শূন্যের কোঠায় চলে এসেছিল। পুরোপুরি নির্মূলের প্রত্যাশা ছিল দেশজুড়ে। কিন্তু তা আর হলো না। এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন বেড়েই চলেছে সংক্রমণের হার।
প্রথম দফায় গত মার্চ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় সংক্রমণ বাড়ছিল দ্রুত। তখন এমনও দিন ছিল, প্রতিদিন তিন/চার শত মানুষ সংক্রমিত হচ্ছিল। দেশটির সরকারের বিভিন্ন কঠোর বিধি-নিষেধের কারণে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে এসে প্রায় স্বাভাবিক হয়ে উঠেছিল অস্ট্রেলিয়ার জীবনযাত্রা। মে মাসের প্রথম দিকে গড়ে ছয়জন করে নতুন শনাক্ত হচ্ছিল পুরো অস্ট্রেলিয়ায়। দেশটির কোনো কোনো রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল শূন্য।
তাই অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম শহর সিডনির রাজ্য নিউ সাউথ ওয়েলস ও মেলবোর্নের রাজ্য ভিক্টোরিয়াতে বিধিনিষেধ আরও সহজ করা হয়েছিল জুনের ১ তারিখ থেকে। কিন্তু গত কিছুদিন ধরে বিশেষ করে মেলবোর্নে সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী। গতকাল নতুন করে ৭৫ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ওই রাজ্যে। এরই মধ্যে ভিক্টোরিয়াতে এই সংক্রমণ ঠেকাতে সীমিত আকারে দেশটির সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মাঠে নামানো হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে মেলবোর্নের বেশি মানুষ সংক্রমিত এলাকাগুলোকে আলাদা করে লকডাউন করা হবে বলে ভিক্টোরিয়া রাজ্যের প্রিমিয়ার ড্যানিয়েল অ্যান্ড্রুস আজ ঘোষণা দিয়েছেন।
করোনাভাইরাস শনাক্তকরণে বিশ্বে প্রথম লালা পরীক্ষা প্রবর্তন করেছে অস্ট্রেলিয়া। নতুন এই সহজ পরীক্ষা ব্যাপক হারে চলছে ভিক্টোরিয়া রাজ্যে। রাস্তায় গাড়িতে গাড়িতে এই পরীক্ষা চলছে। এ ছাড়া ভিক্টোরিয়া রাজ্য ছাড়া দেশটির সব রাজ্যের জন্য কুইন্সল্যান্ড রাজ্য তাদের সীমান্ত খুলে দিচ্ছে আগামী ১০ জুলাই থেকে। অন্যদিকে, আবারও করোনার আতঙ্কে মেলবোর্ন শহরের লোকজনের মধ্যে সাময়িক টয়লেট পেপার কেনার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। যদিও দ্রুতই এই হিড়িক থেমে যায়।
আজ অস্ট্রেলিয়াজুড়ে নতুন করে সংক্রমণ হয়েছে ৭১ জনের। গত প্রায় ৫ মাসে দেশটিতে মোট ৭ হাজার ৮৩৪ জন সংক্রমিত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৩৭ জন। এ পর্যন্ত ১০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষা হয়েছে প্রায় ২৪ লাখ ৫৬ হাজার। হাসপাতালে ১৪ জন ও ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি আছেন ১ জন।
অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশি কেউ এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন বলে জানা যায়নি।
জিরোআওয়ার২৪/এমএ