img

করোনার প্রভাবে ঘোষিত লকডাউনের কারণে দেশের প্রায় ৯৫ শতাংশ পরিবারের উপার্জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই তথ্য জানিয়ে বেসরকারি সংগঠন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ বলছে, সৃষ্ট সামাজিক ও অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়েছে। এর মধ্যে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শহর বা গ্রামের অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বাস করা শিশুরা।

আজ শনিবার প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের ‘কোভিড-১৯ র‌্যাপিড ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট’ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশব্যাপী সরকারঘোষিত প্রায় ৯০ দিনে লকডাউনে কার্যত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়ে। দৈনিক রোজগার বা ব্যবসা বন্ধ থাকায় ৭৮ দশমিক ৩ শতাংশ পরিবারের উপার্জন কমেছে।

ওয়ার্ল্ড ভিশনের অন্তর্বর্তীকালীন ন্যাশনাল ডিরেক্টর চন্দন গোমেজ বলেন, ‘আমরা শঙ্কিত। বিশেষত, পাঁচ বছরের কম বয়সী সেসব শিশুকে নিয়ে, যারা অপুষ্টির মতো প্রতিরোধযোগ্য সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে আছে। যা দেশে শিশু মৃত্যুর হার বাড়িয়ে তুলতে পারে।’

দেশের আট বিভাগের ৫২টি উপজেলার ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী ১ হাজার ৬১৬টি শিশু এবং ২ হাজার ৬৭১ জন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির ওপর পরিচালিত জরিপ থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

চন্দন গোমেজ বলেন, ‘আমরা দেখেছি, খাদ্যসংকটের কারণে অপুষ্টির মতো সমস্যাগুলোয় শিশুরা অধিক মাত্রায় সংক্রমিত হচ্ছে। প্রতিবেদনটিতে উঠে এসেছে, জরিপ এলাকার ৯৪ দশমিক ৭ শতাংশ পরিবারে খুব সামান্য অথবা কোনো খাবার সঞ্চিত নেই। সেখানে ৩৮ দশমিক ৫ শতাংশ শিশু এবং ৫৮ দশমিক ৯ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি দিনে সর্বোচ্চ দুবেলা খেতে পারছেন। এ ছাড়া ৫৮ শতাংশ পরিবার খুব কম খাবার খেয়ে দিন পার করছে।’

প্রতিবেদনে আরও উঠে এসেছে, প্রায় ৩৪ শতাংশ পরিবার রান্না, ধোয়া-মোছা ও পান করার জন্য নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছে না। অন্যদিকে, ৫০ শতাংশ পরিবার স্বাস্থ্যবিধি উপকরণ এবং পরিষ্কার পানির অপর্যাপ্ততার কারণে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারছে না।

জিরোআওয়ার২৪/এমএ 

এই বিভাগের আরও খবর