সতর্ক না থাকলে আবারও করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার পাশাপাশি বাড়ছে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যাও। সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠার পরও রোগী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে, মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। না হলে আবার সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে সবার আগে জেনে নিতে হবে করোনা থেকে মুক্তি নিশ্চিতের মানদণ্ডগুলো কী। এ ছাড়া করোনা থেকে সেরে ওঠার পরও কিছু সমস্যা রয়ে যায়। সেগুলোও জানা থাকা দরকার।
করোনার সংক্রমণ সেরে যাওয়ার পরও কাশি কয়েক সপ্তাহ থাকতে পারে। শরীরও বেশ দুর্বল থাকে। কোনো কাজ করতে গেলে হাঁপিয়ে ওঠা স্বাভাবিক। অবসাদ আর ক্লান্তি থাকে দীর্ঘদিন। বাসায় থেকে যাঁরা সুস্থ হয়ে উঠছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে তিনটি মানদণ্ড দেখে করোনামুক্ত বলে ধরে নেওয়া হয়। এগুলো হলো:
• জ্বর কমানোর ওষুধ ব্যবহার ছাড়া অন্তত ৭২ ঘণ্টা জ্বর না থাকা
• করোনার অন্যান্য লক্ষণ, অর্থাৎ কাশি, শ্বাসকষ্টের উপসর্গগুলো কাটিয়ে ওঠায় উন্নতি এবং
• প্রথম উপসর্গ দেখা যাওয়ার অন্তত সাত দিনের মধ্যে আর কোনো উপসর্গ দেখা না যাওয়া।
সুযোগ থাকলে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দুবার পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে হবে রোগী করোনামুক্ত হয়েছেন কি না। বাড়িতে যাঁরা থাকেন, তাঁরা অধিকাংশই দুই থেকে আট সপ্তাহের মধ্যে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন। ধূমপায়ী, হাঁপানি, সিওপিডি, ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ ও কিডনিজনিত সমস্যা থাকলে সেরে উঠতে বিলম্ব হয়। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি হওয়া রোগীদের সেরে উঠতে তুলনামূলক বেশি সময় লাগে। অনেক রোগীর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে ১২ থেকে ১৮ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এ ছাড়া হাসপাতালের বিছানায় দীর্ঘদিন শুয়ে থাকার কারণে দেহের পেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, ফিজিওথেরাপির প্রয়োজন হতে পারে। খাবারে অরুচিও থেকে যায় বেশ কিছুদিন। রোগীর মানসিক অবস্থারও অবনতি ঘটতে পারে।
সুস্থ হওয়ার পর সামাজিক মেলামেশা
হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর অনেককেই পরবর্তী ১৪ দিন বাড়িতে খানিকটা সামাজিক দূরত্বের নিয়মকানুন মানতে বলা হয়। কারণ, অনেক সময় করোনা পরীক্ষা না করে মানদণ্ডের বিচারে রোগীকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। ছাড়পত্রের দুই সপ্তাহ পর পুরোদমে সামাজিক মেলামেশা ও কাজে যোগদানে কোনো বাধা নেই। তবে অবসাদ, ক্লান্তি রয়ে গেলে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে কিছুটা বিলম্ব হতে পারে।
জিরোআওয়ার২৪/এমএ