img

কলকাতার সঙ্গে এক আবেগ, ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানের। শুধু কলকাতা বললে ভুল হবে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও মধুর সম্পর্ক শাহরুখের। এমনকি মমতা শাহরুখের হাতে রাখি পরিয়ে এই বলিউড তারকাকে নিজের ভাইও বানিয়েছেন। এর আগেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর করোনা ফান্ডে অর্থ ঢেলেছেন শাহরুখ। আর এবার ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত কলকাতার পাশে সাহায্যের হাত বাড়ালেন শাহরুখ।

আম্পান ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত বাংলার পাশে দাঁড়াল শাহরুখ খানের কেকেআর এবং মীর ফাউন্ডেশন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে শাহরুখের এই প্রতিষ্ঠানদ্বয়ও এই যুদ্ধে শামিল হলো। আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত হাজার হাজার মানুষের দিকে নানাভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন শাহরুখ। পশ্চিমবঙ্গ মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে অর্থ প্রদান করবে বলে জানাল কলকাতা নাইট রাইডার্স। আম্পান ঘূর্ণিঝড়ে হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন। তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বা খাবারও পাচ্ছে না। ‘কেকেআর সহায়তা বিহান’ অভিযানের মাধ্যমে সারা বাংলার পীড়িত মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেবে শাহরুখের প্রতিষ্ঠান। ‘কেকেআর প্ল্যান্ট’-এর মাধ্যমেও নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই দলটিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন আরেক বলিউড তারকা, শাহরুখের বন্ধু ও বিজনেস পার্টনার, কেকেআর-এর অন্যতম মালিক জুহি চাওলা মেহতা। ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপে কলকাতার বুকে হাজার হাজার গাছ উপড়ে গেছে। তাই ‘কেকেআর প্ল্যান্ট’ অভিযানের মাধ্যমে কলকাতায় ৫ হাজার বৃক্ষরোপণ করা হবে। কারণ, যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় গাছের বিকল্প নেই। বাংলার এই চরম বিপর্যয়ের পরিপ্রেক্ষিতে শাহরুখ খান বলেন, ‘এই কঠিন সময়ে আমাদের শক্তভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। আর যতক্ষণ না পর্যন্ত আমরা সবাই হাসছি, তত দিন আমাদের এই সংগ্রাম চালিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’

কলকাতার বিপদে সব সময় ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তিনি। আবারও মমতার পাশে দাঁড়ালেন বলিউডের কিং খান। করোনার জন্য নানাভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন শাহরুখ। মহারাষ্ট্র, দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলেও অর্থ প্রদান করেছিলেন কিং খান। হাজার হাজার মানুষের খাবারের দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন তিনি। এমনকি নিজের অফিসের দরজা খুলে দিয়েছেন কোয়ারেন্টিন সেন্টার করার জন্য। এবার আম্পানে বিধ্বস্ত বাংলার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন শাহরুখ।

কেকেআরের সিইও ভেংকি মাইশোর বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য এবং “সিটি অব জয়” কলকাতা নানা কারণে আমাদের কাছে বিশেষ। দীর্ঘদিন ধরে কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ কেকেআর-কে অফুরন্ত ভালোবাসা এবং সমর্থন দিয়ে এসেছে। বাংলার দুর্গত মানুষের কাছে এটা আমাদের ক্ষুদ্রতম প্রয়াস। আমাদের সেবাকর্মীরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। আর তারা সবরকম নিরাপত্তা মেনে এবং স্বাস্থ্যসম্মতভাবে সেবার কাজে এগিয়ে এসেছে।’

জিরোআওয়ার২৪/এমএ   

এই বিভাগের আরও খবর