img

আসামি বহিঃসমর্পণ আইনের প্রতিবাদে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে গত বছরের পুরোটা সময় হংকং ছিল অস্থিতিশীল। ওই বছরের শেষের দিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার পর বিক্ষোভ থেমেছিল। কিন্তু আবারও অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে বিশ্ববাণিজ্যের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হংকং। চীন তার আধা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটিতে নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইন জারির প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আর তাতেই ফুঁসে উঠেছেন হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থীরা। গতকাল শুক্রবার তাঁরা এই আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন।

হংকংয়ের জন্য নতুন যে নিরাপত্তা আইন হতে যাচ্ছে সেখানে রাষ্ট্রদ্রোহ, বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপ ও স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের মতো বিষয়গুলো কঠোর হাতে দমন করার কথা রয়েছে। মানবাধিকারকর্মীদের আশঙ্কা, এ আইন হংকংয়ে রাজনৈতিক স্বাধীনতার টুঁটি চেপে ধরতে পারে। গতকাল শুক্রবার চীনের পার্লামেন্ট ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের (এনপিসি) বার্ষিক অধিবেশনের শুরুতেই আইনটির খসড়া তোলা হয়। এই খসড়া আইনটি উপস্থাপন করার আগে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতারা একাধিকবার হুঁশিয়ার করেছেন, হংকংয়ের ভিন্নমতকে আর সহ্য করা হবে না। এনপিসির সংসদীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ওয়াং চেন এই আইনকে চীনের শত্রুদের প্রতিহত করার বড় হাতিয়ার হিসেবে উল্লেখ করেন।

আইনটি পার্লামেন্টে তোলার পর গতকাল এই বিষয়ে বিবৃতি দেন হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম। তিনি আইন প্রস্তুতের জন্য বেইজিংকে ‘পূর্ণ সহায়তা’ প্রদানের অঙ্গীকার করেন।

গত বছর আসামি বহিঃসমর্পণ আইনের প্রতিবাদে সিভিল হিউম্যান রাইটস ফ্রন্ট নামের একটি সংগঠনের ডাকে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন লাখো মানুষ। সংগঠনটির নেতা জিমি শ্যাম নতুন আইনের বিরুদ্ধে আবারও বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান। আগামীকাল রোববার বড় ধরনের বিক্ষোভ আয়োজনের জন্য অনলাইনে জনমত গড়ে তোলার কাজও শুরু করেছেন অন্য গণতন্ত্রপন্থী কর্মীরা। আইনটি হংকংয়ের আইনের শাসনের ওপর বড় ধরনের হুমকি বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। যুক্তরাষ্ট্র এই আইনের তৈরির চেষ্টার নিন্দা জানিয়েছে।

জিরোআওয়ার২৪/এমএ   

এই বিভাগের আরও খবর