img

লকডাউনের কারণে দীর্ঘদিন ধরে পরিবারের সবাই বাসায় একসঙ্গে পুরোটা সময়। কেউ কেউ হয়তো সন্তানদের পড়ালেখার ব্যাপারটি দেখেছেন আর হতাশ হয়ে ভাবছেন, ‘এই কথা না শোনা বেয়াড়া সন্তানদের কী করে মানুষ করব?’ আর সেই সঙ্গে সন্তানেরা হয়তো ভাবছেন, ‘আমাদের মা–বাবা একদম সনাতন আমলের, কথা শুনতেই চায় না।’

এই অচল পরিস্থিতি সামাল দিতে কিছু বিষয় তুলে ধরার চেস্টা করছি। উপদেশ নয়, সন্তানদের অনুভুতিকে বোঝার চেষ্টা করুন। নিচের কথোপকথনটা খেয়াল করুন।

বাচ্চাদের জেদের মতো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি খুব সহজেই সামলে নেয়া যায় ব্যবহারে ছোট্ট একটি পরিবর্তন এনে। যেকোনো সমস্যায় দ্রুত সমাধানের দিকে না এগিয়ে সন্তানের অনুভূতিকে স্বীকৃতি দিন। এতে অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতি দ্রুতই অনুকূলে আসবে। নিচের উদাহরণটা খেয়াল করলেই সেটা পরিষ্কার বোঝা যাবে।

যেমন সন্তান বলল, আমার পোষা মাছটি আজ মারা গেছে। তখন অভিভাবক হিসেবে আপনিও তার দুঃখ ভাগ করে নিন। যেমন বলতে পারেন- আহা রে…। মাছটির সঙ্গে তুমি কত আনন্দ করতে। তুমি সত্যিই মাছটার অনেক যত্ন নিয়েছ। এতে সান্তান আপনার সমবেদনা পেয়ে খুশি হবে।

সন্তানদের কাছ থেকে সহযোগিতা আদায় করার জন্য চেষ্টা করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে এই পরামর্শগুলো কাজে লাগতে পারে—

১. সমস্যাটি বর্ণনা করুন

২. দরকার পড়লে আরও তথ্য দিন

৩. নিজের অনুভূতিকে ব্যক্ত করুন

৪. প্রয়োজনে নোট লিখুন।

কীভাবে? ধরুন সন্তান ঘরের দেয়ালে এঁকেছে, যা দেখে আপনার মেজাজ খুবই চড়ে গেল। এখন তাকে বকাঝকা না করে বলতে হবে “আঁকা বা লেখার জন্য দেয়াল নয়। তার জন্য আছে কাগজ আছে” এখানে আপনি তাকে নতুন একটি তথ্য দিলেন।

অনেক সন্তানই যেকোনো কাজে মা–বাবার প্রতি বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। এতে তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়, বাড়ে পরনির্ভরতা। এসব ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখা জরুরি—

১. সন্তানদের নিজের সিদ্ধান্ত নিজেকে নিতে দিন

২. তাদের কঠিন প্রচেষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হন

৩. বেশি প্রশ্ন করবেন না

৪. দ্রুত প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবেন না

৫. কখনো সন্তানকে আশাহত করবেন না।

জিরোআওয়ার২৪/এমএ   

এই বিভাগের আরও খবর