img

করোনার কোপে বিশ্ব অর্থনীতি টালমাটাল। বিশ্বব্যাপী বহু কোম্পানি কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে। কেউ কেউ কর্মীদের বেতন দেওয়া বন্ধ করেছে। কেউ কোম্পানি বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছে। করোনার ধাক্কায় এবার ১১৮ বছরের পুরোনো মার্কিন চেইন ডিপার্টমেন্ট স্টোর জেসি পেনি দেউলিয়া হওয়ার পথে। ইতিমধ্যে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণার জন্য আবেদন করেছে তারা। বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

জেসি পেনি যুক্তরাষ্ট্রে ৮৫০টির বেশি স্থানে পোশাক, প্রসাধনসামগ্রী ও গয়না বিক্রি করে। প্রায় ৮০ হাজার কর্মী কাজ করেন এই কোম্পানিতে।

গত শুক্রবার চ্যাপ্টার ১১-এর অধীনে দেউলিয়া সুরক্ষার জন্য আবেদন করেছে জেসি পেনি। ঋণ পরিশোধ করতে না পারলেও কোম্পানি পুনর্গঠন করার অনুমতি চাওয়া হয়েছে ওই আবেদনে।

এর আগে গত মাসে বিলাসবহুল ডিপার্টমেন্ট স্টোর জে ক্রু দেউলিয়া সুরক্ষার আবেদন করে। এপ্রিলে সুদের অর্থ পরিশোধ করতে না পারায় তখনই খবর রটে, দেউলিয়া হচ্ছে জেসি পেনিও। এক মাস পর সেই খবরই সত্যি হতে চলছে।

এক বিবৃতিতে কোম্পানিটি জানায়, তাদের ৫০ কোটি ডলার নগদ রয়েছে। এ ছাড়া ঋণদাতাদের কাছ থেকে আরও ৯০ কোটি ডলার আর্থিক প্রতিশ্রুতি পেয়েছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি স্টোর বন্ধ করে দিয়েছে তারা।

বিবৃতিতে কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জিল সোলতাও বলেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারি আমাদের পরিবার, আমাদের প্রিয়জন, আমাদের কমিউনিটি ও আমাদের দেশের জন্য অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।’

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিপুলসংখ্যক রিটেইলার বিক্রি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক কোম্পানিই স্টোর বন্ধ করে দিচ্ছে। গত মার্চ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত দেশটিতে খুচরা বিক্রি কমেছে রেকর্ড পরিমাণ, ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ।

১৯০২ সালে ওয়াইয়োমিং অঙ্গরাজ্যে এই কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠা করেন জেমস ক্যাস পেনি। দাম কম ও নির্দিষ্ট হওয়া উচিত, এই নীতিতে বিশ্বাস করতেন তিনি। ১৯৩০ সালের মহামন্দা পার করেছে এই কোম্পানি। বিংশ শতাব্দীতে এসে বেশ ভালো ব্যবসা করছিল তারা। তবে অনলাইন শপিংয়ের প্রচলন হওয়ায় বেশ বিপাকে পড়ে জেসি পেনি। গত কয়েক বছরে অনেক স্টোর বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় তারা। এমনকি অনেক কর্মীও ছাঁটাই করা হয়। গত বছর তাদের ১০ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের বিক্রি হয়, যা গত ১০ বছরের গড় আয়ের চেয়ে ৭ বিলিয়ন ডলার কম। আর এ বছর করোনাভাইরাস মহামারির প্রভাবে তারা দেউলিয়াই হতে চলেছে।

জিরোআওয়ার২৪/এমএ   

এই বিভাগের আরও খবর