img

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকত এটি। যেখানে প্রায় প্রতিদিন বিভিন্ন পয়েন্টে লাখো মানুষ ভিড় জমাতো। কিন্তু বিশ্বে মহামারী ধারণ করা করোনাভাইরাসের কারণে সেখানে পর্যটন নিষিদ্ধ করে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। যার কারণে ২৪ ঘণ্টার এ ব্যস্ত সমুদ্র সৈকত এখন নিস্তব্ধ। বিরাজ করছে সুনসান নিরবতা। আজ সেখানে নেই মানুষের আনাগোনা। মানুষের সেই পদাচারণা দখলে নিয়েছে কাঁকড়া। সৈকতে নতুন করে উকি দিয়েছে সাগরলতা। সাগরলতার কারণে গড়ে উঠছে বালিয়াড়ি। আর এভাবেই কক্সবাজার ফিরে পেয়েছে তার বৈচিত্রতা।

এক পা ওয়ালা লাল কাঁকড়ার দল পর্যটকশূন্য সৈকতে এঁকেছে আলপনা। যে কাঁকড়াগুলো মানুষ দেখলে নিমিষেই পালিয়ে যেত তাদের আপন আলয়ে। এক সময়ের ব্যস্ত এ সৈকতে প্রায় বিলুপ্ত হয়ে হয়ে পড়েছিল এ লাল কাঁকড়া আর সাগরলতা। তবে, ঠিক সন্ধ্যা নামার আগে অল্প কিছু লাল কাঁকড়ার দেখা মিলত হিমছড়ি পয়েন্টে। মানুষ দেখলে পালিয়ে বেড়াতো তারা।

করোনা পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশের অন্যান্য পর্যটন এলাকা রাঙ্গামাটির সাজেক ভ্যালি, খাগড়াছড়ি আলুটিলা, বান্দারবনের নীলাচল-নীলগিরি, স্বর্গ খ্যাত সিলেটের জাফলং-চা বাগানও নিরব-নিস্তব্ধ। এমনই নিস্তব্ধতা ধারণ করেছে কক্সবাজারের একশত বিশ কিলোমিটারের বেলাভূমি। পর্যটকের শূন্যতায় বেলাভূমি জুড়ে কিলবিল করছে লাল কাঁকড়ারা। তাদের পায়ের আঘাতে নরম বালুতে গড়ে উঠেছে আলপনা। যেন শিল্পীর তুলিতে আঁকা এক অপরূপ দৃশ্য। যেন প্রকৃতিরা প্রতিনিয়ত পর্যটকদের কাছে ডাকছে।

সারা দুনিয়ার পর্যটন এলাকাগুলো এই মুহূর্তে ঘুমিয়ে আছে। পেরুর মাচু পিচ্চু প্রদেশের ইনকা শহর, চীনের মহাপ্রাচীর, নায়াগ্রা জলপ্রপাত, ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ার, ভারতের সিকিম প্রদেশ, ইতালির ভ্যানিস, রোম, বলিভিয়ার সালার দে ইউনিসহ পৃথিবীর সকল পর্যটন এলাকাগুলো জনশূন্য। অথচ প্রতিদিন লাখো দর্শনার্থীর ভীড়ে জমজমাট থাকত এসব পর্যটন নগরী।

জিরোআওয়ার২৪/এমএ 

এই বিভাগের আরও খবর