img

ইফতার হতে হবে হালকা ও স্বাস্থ্যকর। বিশেষজ্ঞরা এমন তথ্য বরাবরই দিয়ে আসছেন। সারাদিন না খাওয়ার ফলে আমাদের পাকস্থলী হয়ে ওঠে সংবেদনশীল। তাই ভাজাপোড়া, তেলের ভারী খাবার সৃষ্টি করতে পারে শারীরিক অস্বস্তি। তাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে রোজা ভাঙতে সবার আগে মুখে খেজুর ও হালকা পানীয় দেয়া। যেমন বাঙ্গির জুস। অতি পরিচিত ফল বাঙ্গি। ফুটি নামেও যথেষ্ট পরিচিত।

চলুন জেনে নেয়া যাক বাঙ্গির পুষ্টিগুণ এবং এর জুস বানানোর উপায়।  

পটাসিয়াম: বাঙ্গিতে আছে প্রচুর পরিমাণ পটাসিয়াম। তাই এত জাতীয় ফল উচ্চ রক্তচাপ সামলাতে পারে।

দৃষ্টিশক্তি: বাঙ্গি দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখার জন্য বেশি কার্যকর। কারণ এতে আছে ভিটামিন ‘এ’ ও বিটা ক্যারোটিন। ছানি পড়ার ঝুঁকি কমানো ছাড়াও দৃষ্টিকে প্রখর করে বাঙ্গি।

চর্বি কাটে: ফুটিতে রয়েছে উপকারী কার্বোহাইড্রেট। এটি সহজে ভেঙে শরীরে মিশে যায়। আরও আছে ফাইবার, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। পটাসিয়ামের উচ্চ মাত্রা পেটের অনাকাঙ্ক্ষিত চর্বিকেও বিদায় জানায়।

ডায়াবেটিস: রক্তে গ্লুকোজের বিস্ফোরণ সামলে নিতে দক্ষ বাঙ্গি। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কার্যকর।

কোলেস্টরলমুক্ত: বাঙ্গি কিন্তু একেবারেই কোলেস্টেরলমুক্ত ফল। এর ফাইবার সহজে ভক্ষণযোগ্য।

বাঙ্গির জুস যেভাবে বানাবেন:

ব্লেন্ডারে পানি দিয়ে আগে থেকে কেটে রাখা বাঙ্গিগুলোকে ভালো করে ব্লেন্ড করে ছেঁকে নিন এতে করে । এরপর ছাকা  বাঙ্গি ব্লেন্ডারে আবার দিয়ে আবার সামান্য পানি দিন এরপর এর মধ্যে এক এক করে দিয়ে দিন দই, চিনি, বিট লবণ তারপর কিছুক্ষণ আবার ব্লেন্ড করুন। এরপর সামান্য কমলা রঙের ফুড কালার মিশিয়ে নিন। ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করুন আর পরিবেশনের আগে বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন এই জুস। ও হ্যাঁ, ফুড কালার ব্যবহার করার কারণ হচ্ছে দেখতে সুন্দর লাগায় বাচ্চাদের খুব সহজেই খাওয়ানো যায়। আর বড়রা যে বাঙ্গির নাম শুনলে নাক সিটকায় তারাও খাবে এই পানীয়। সত্যি বলছি বাসায় একদিন বানিয়ে খেয়ে দেখুন। তারপর প্রতিদিন রিকোয়েস্ট আসবে এই শরবত বানানোর। 

জিরোআওয়ার২৪/এমএ   

এই বিভাগের আরও খবর