লকডাউনে শিশু-কিশোরদের স্থূলতার আশঙ্কা
ঘরবন্দী শিশুরা হয়ে আছে মনমরা। খেলতে পাড়ছে না, ঘুরতে পারছে না। সেই সাথে দেখা নেই বন্ধুদের সাথেও। স্বভাবতই শিশুরা তাই খিটিখিটে হয়ে উঠেছে। তবে শারীরিক সচলতা শিশুদের উচ্ছ্বাসিত রাখবে বলে উপদেশ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। একই সাথে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করেছে, লকডাউনে ঘরবন্দী ও নিষ্ক্রিয় থেকে শিশু-কিশোরদের স্থূলতার হার বাড়তে পারে। তাই নিশ্চিত করতে হবে শিশুর শারীরিক পরিশ্রম। এতে যেমন শিশুর মন ভাল থাকবে, তেমনি বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও।
সবার আগে শিশুদের মুঠোফোনে, গ্যাজেটে থেকে যতটা সম্ভব দূরে রাখতে হবে। এমনকি একটানা বই পড়া, ছবি আঁকাও ঠিক হবে না। এতে শরীরের সাথে চোখের উপরও চাপ বাড়তে পারে। ছোটরা পছন্দ করবে এমন অনেক খেলা আছে যা তাদের একটিভ রাখতেও বেশ সাহায্য করবে। জেনে নেয়া যাক সেগুলো-
টেবিল টেনিস: এক ঘণ্টা টেবিল টেনিস খেললে প্রায় ২০৪ ক্যালরি শক্তি ক্ষয় হয়। তাই ডাইনিং টেবিলকে সহজেই টেবিল টেনিসের কোর্ট বানিয়ে খেলতে পারেন।
দড়িলাফ: খুব পরিচিত এই খেলাটি এখন তেমন আর খেলা হয় না। তবে পুরানো হলেও এর কার্যকারিতা অসাধারণ। মাত্র ১৫ মিনিট দড়িলাফে প্রায় ১১৯ ক্যালরি ক্ষয় হয়।
কুতকুত জাতীয় খেলা: কুতকুত খেলা না জানলেও মাটিতে দাগ কেটে ঘর বানিয়ে নিজের মতো করে খেলতে পারেন। ছোটরা আবার অক্ষর লিখে পড়ার ছলেও খেলতে পারে। ইন্টারনেট থেকে এক্ষেত্রে সাহায্য নিতে পারেন। মাত্র ১৫ মিনিট খেলায় প্রায় ৬৮ ক্যালরি ক্ষয় হয়।
বোলিং: বাড়িতে কম বেশি সবারই বল থাকে। এখন প্লাস্টিকের কাপ একের পর এক রেখে, দূর থেকে তা বল দিয়ে ভাঙ্গার চেষ্টা কর। ঘরের করিডোরে এমন বোলিং খেলা বেশ মজার হয়। প্রায় ৩০ মিনিট বোলিং খেলায় ১০৫ ক্যালরি ক্ষয় হয়।
ট্যাব দ্য শেইপ: মেঝেতে চক দিয়ে ত্রিকোনা, চক্রাকার, বৃত্তাকারের মতো নানা ধরনের ঘর করে নাও। এখন দুই পায়ে বা এক পায়ে একটি নির্দিষ্ট আকারে পা দিয়ে লাফিয়ে যাও। এই খেলায় বাচ্চারা নানা ধরনের আকৃতির নামও শিখবে এবং ঘামও ঝড়াবে।
বেলুন ফোলানো: বাচ্চাদের জন্য দারুণ মজার এই ব্রিদিং এক্সারসাইজ। তাই বাচ্চাদের কিছু বেলুন কিনে দিন এবং নিজের মতো করে ফুলাতে বলুন। চাইলে ঘর সাজানোর মতো সৃজনশীল কাজও এই ফাঁকে অনুশীলন করাতে পারেন।
এছাড়াও লুকোচুরি খেলা, লাফানো, ব্যাট-বল, ছোঁয়াছুঁয়ির মতো খেলাও খেলতে দিতে পারেন শিশুদের। মনে রাখবেন, খেলা যাই হোক না কেন শিশু যেন তা উপভোগ করে এবং তার শারীরিক পরিশ্রম হয়। প্রতিদিন কি খেলতে চায় শিশুকে তা জিজ্ঞেস করুন। এতে সে আরো বেশি আগ্রহী হবে। ভুলেও কোন খেলা তার উপর চাপিয়ে দিবেন না।
জিরোআওয়ার২৪/এমএ