img

সম্প্রতি, কৃষিপণ্য যথাযথভাবে বিপণনের মাধ্যমে কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে জাতীয়ভাবে একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কৃষিপণ্য উৎপাদনকারী, ব্যবসায়ী, ক্রেতাসহ সংশ্লিষ্টদের যুক্ত করে কৃষি মন্ত্রণালয়কে সঙ্গে নিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এ প্ল্যাটফর্ম তৈরির কাজ করছে।

দেশে মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে গত ২৬ মার্চ থেকে দফায় দফায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এতে সবজিসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য বাজারজাত করতে না পারায় কৃষকরা বঞ্চিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষি মন্ত্রণালয় ও আইসিটি বিভাগের কর্মকর্তারা।

এদিকে, নারায়ণগঞ্জ, যশোর, বরগুনা, গাইবান্ধাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের কৃষকরা সবজিসহ বিভিন্ন পণ্য নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। চাহিদা থাকার পর দেশের অন্যান্য স্থানে তাদের উৎপাদিত পণ্য পাঠাতে পারছেন না। ফলে দাম না পেয়ে কৃষকরা বেগুন টমেটো, করলা, ঢেঁড়শ, ভুট্টাসহ বিভিন্ন সবজি ও কৃষিপণ্য নষ্ট করে ফেলছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে।

এ বিষয়ে কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা অনলাইন মার্কেটিং সিসটেম করতে চাই। এর মাধ্যমে পাইকার, ভোক্তা, উদ্যোক্তা, উৎপাদনকারীদের মধ্যে একটা সমন্বয় হবে, উৎপাদিত পণ্যটা যাতে নির্বিঘ্নে ভোক্তার কাছে পৌঁছায়। উৎপাদনকারী যাতে ন্যায্যমূল্য পায়।’

তিবি আরও বলেন, ‘এজন্য আমরা একটা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করব। যার মাধ্যমে ক্রেতা অর্ডার দেবেন, কিছু রেজিস্টার্ড ট্রাক থাকবে যেগুলো চলাচলে কোনো বাঁধা থাকবে না। এর মাধ্যমে ট্রাকগুলো বিভিন্ন স্থানে চাহিদা অনুযায়ী কৃষিপণ্য পৌঁছে দেবে। এছাড়া মানুষের বাড়িতে কৃষিপণ্য পৌঁছে দিতে পারে এমন প্রতিষ্ঠানও গড়ে উঠতে হবে। দুই একটি প্রতিষ্ঠান অনলাইনে নিত্যপণ্যের ব্যবসা করছে। আপাতত তাদের নিয়েই আমরা কাজ শুরু করব।’

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, ‘আমাদের একশপ নামে অনলাইন বাজার ব্যবস্থা আছে। এর সঙ্গে অন্যান্যদের যুক্ত করে কৃষি বিভাগকে সঙ্গে নিয়ে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘উত্তরবঙ্গে কোনো একটি পণ্য সস্তা, সেটা জানা হয়ে গেল, কোথায় লাগবে সেখানে চলে যাবে। এজন্য এই প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহৃত হবে। যারা পোস্টাল সার্ভিস দেয় তাদের ভালো ক্যারিয়ার (যানবাহন) আছে, পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে তাদের কাজে লাগানো যায় কিনা, সেটাও আমরা দেখছি।’

জানা গেছে, যারা ই-কমার্সের কাজ করছে তাদেরও সমন্বয় করা হবে এই কার্যক্রমে। এবং সফটওয়্যার তৈরির কাজ মূলত আইসিটি মন্ত্রণালয় করবে।

জিরোআওয়ার২৪/আরএ

এই বিভাগের আরও খবর