img

করোনার কারণে এ বছরের পবিত্র রমজান মাস একেবারেই ব্যতিক্রম হতে যাচ্ছে। এখন জীবন চলছে ভিন্ন গতিতে। সবাই বাসায় বন্দী। হাঁটা চলা হচ্ছে সীমিত। তার উপর আছে মানসিক চাপ। জীবনাচরণে এই পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে হতে হবে রমজানের মাসটুকুও। জেনে নেয়া যাক তাহলে, রোজায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কি কি পরামর্শ দিচ্ছে।

১. করোনা ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত ক্করতে হবে। তাই ঘরে তারাবিহর নামাজ আদায় করা উচিত। বাড়িতে জামাতে নামাজ পড়ার ক্ষেত্রেও অন্যদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

২. যাদের জ্বর-কাশি, ডায়রিয়া বা ফ্লুর উপসর্গ আছে তারা কোন ভাবেই অনিয়ম করবেন না। সেই সাথে বয়স্ক ব্যক্তি, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্‌রোগ, ফুসফুসের রোগীরাও থাকুন সতর্কতায়। তাই স্বাস্থ্যকর খাওয়া দাওয়া, নিয়মিত হাঁটা চলা, মানসিক প্রশান্তি সুনিশ্চিত করতে হবে।

৩. মুসলমানরা যে পদ্ধতিতে দিনে পাঁচবার অজু করেন, তা স্বাস্থ্যসম্মত বলেই আখ্যা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে অজুর আগে সাবান, হ্যান্ডওয়াশ বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পা ধুয়ে নিলে ভাল। প্রত্যেকেই ব্যক্তিগত জায়নামাজ ব্যবহার করবেন।

৪. অজুর জায়গা, বাথরুম জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে। একই সাথে দরজার হাতল, কলিং বেল, সিঁড়ির রেলিং, পানির কল, লাইট ফ্যানের সুইচ বারবার জীবাণুমুক্ত করতে হবে। এগুলো যথাসম্ভব জীবাণুনাশক দিয়ে দিনে অন্তত একবার মুছে রাখুন।

৫. রোজা রেখে পুষ্টিকর ও ভিটামিন খনিজযুক্ত খাবার খেতে হবে। প্রচুর পানি পান করতে হবে। সেই সাথে ভাজা পোড়া একেবারেই না খাওয়ার চেষ্টা করুন। ইফতারের পর হালকা হাঁটাহাটিঁ বা ব্যায়াম করবেন।

৬. ইফতার বিতরণে ভিড় তৈরি করবেন না। কিভাবে জনসমাবেশ তৈরি না করে, দ্রুত সময়ের মধ্যে ইফতার বিতরণের কাজ শেষ করা যায় তা আগে থেকে পরিকল্পনা করুন। বাইরে, মার্কেটে, বা কাঁচাবাজারে যেতে হলে ভিড় এড়িয়ে চলুন।

জিরোআওয়ার২৪/এমএ     

এই বিভাগের আরও খবর