img

করোনাভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করার কারণে মানুষ এখন মানুষের চেয়ে রোবটের প্রতি নির্ভর হচ্ছে। এতে ত্বরান্বিত হচ্ছে রোবটায়ন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাসের মতো সংকট এটাই শেষ নয়। সামনে এ রকম সংকট আর আসছে। পৃথিবী ক্রমেই রোবট নির্ভর হয়ে উঠছে। যা মানুষের জন্য ডেকে আনবে আরেক বিপদ।

সম্প্রতি, বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

এ বিষয়ে, যুক্তরাষ্ট্রের কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবট বিশেষজ্ঞ মার্টিন ফোর্ড বলছেন, মানুষ স্বাভাবিকভাবেই নিজেদের কাজের জন্য মানুষের সংস্পর্শ পছন্দ করে। কিন্তু করোনা সংক্রমণের কারণে মানুষের সেই পছন্দ বদলাচ্ছে।

তিনি জানান, করোনার থাবায় মানুষ মানুষের স্পর্শ এড়িয়ে স্বয়ংক্রিয় সবকিছুর দিকে আকৃষ্ট হচ্ছে। বড় ছোট সব সংস্থাগুলো সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য এবং যাতে কম সংখ্যক কর্মী দিয়ে কাজ করা যায়, তাই ভরসা রাখছেন রোবটে। কেননা, রোবট ব্যবহারের ফলে এই সময়ে কর্মীদের মধ্যে করোনা সংক্রমণেরও সুযোগ নেই। অন্যদিক কম সময়ে বেশি কাজ করা সম্ভব।

এদিকে, প্রতিবেদনে বলা হয়, ছোট-বড় অনেক প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে সামাজিক দূরত্বের চর্চা করতে গিয়ে রোবটের ব্যবহার বাড়ানোর চিন্তা করছে। এছাড়া অফিসে এসে যে কর্মীদের কাজ করতে হয়, তাদের সংখ্যা কমানোর চেষ্টা করছে।

এছাড়া, বিশ্বখ্যাত ফ্যাশন ব্রান্ড তাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর ফ্লোর পরিষ্কারের জন্য রোবট ব্যাবহার করে অনেক দিন ধরে। দক্ষিণ কোরিয়ায় তাপমাত্রা মাপার জন্য ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রদান করার জন্যও রোবটের ব্যাবহার পরিলক্ষিত হয়েছে।

অন্যদিকে, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে পৃথিবীতে যে লকডাউন নেমে এসেছে, তা ২০২১ সালে পুরোটা সময় পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। যদিও ক্রমেই এই অবস্থা শিথিল হবে। কিন্তু এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে যাতে রোবটের চাহিদা বাড়বে। ফলে কর্ম হারিয়ে, বিপদের এগিয়ে যাবে মানুষ।

জিরোআওয়ার২৪/আরএ

এই বিভাগের আরও খবর