img

করোনাভাইরাসে মৃতের ৮০ শতাংশ ব্যক্তিদেরই অন্যান শারীরিক জটিলতা ছিল। হৃদ্ররোগ, কিডনি সমস্যা, শ্বাসকষ্ট, ডায়াবেটিসের মতো ধূমপায়ীরাও আছেন হুমকির মুখে। তাই ধূমপায়ীদের প্রতি বিশেষ খেয়াল করতে পরামর্শ দিচ্ছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা।

অতিরিক্ত ধূপমান ফুসফুসকে সংক্রমণ করে। একইভাবে মাদক, ই-সিগারেট, গাঁজা, সীসাও ফুসফুসকে দুর্বল করে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে। ফলে ধূমপায়ীদের করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভেন্টিলেটরে থাকার ঝুঁকি আছে অনেক গুণ বেশি। তাই  ধূমপান ও মাদকদ্রব্য গ্রহণ করা এক্ষুনি বন্ধ করুন। মেনে চলুন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা। কারণ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই শ্রেয়।

  • প্রতিদিন প্রাপ্তবয়স্করা ৩০ মিনিট ও অপ্রাপ্তবয়স্করা ৬০ মিনিট ব্যায়াম করবেন। হাঁটা, ফ্রি-হ্যান্ড এক্সসারসাইজ অথবা ইয়োগার মতো ব্যায়াম করতে পারেন।
  • খাবার থালায় প্রতিদিন পুষ্টিকর খাবার থাকতে হবে। যেমন এন্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার কমলা, পেয়ারা, জামবুরা, আমড়া, কামরাঙা বা ফলের রস এবং শাকসবজি লালশাক, পালংশাক, পুইশাক, গাঁজর, শসা, টমেটো, লেটুসপাতা, কাঁচামরিচ। চাইলে লেবুর রস মিশিয়ে সালাদ তৈরি করেও খেতে পারেন।
  • দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে না থেকে ৩০ মিনিট পরপর অন্তত ৩ মিনিটের জন্য পায়চারি করুন।  
  • মানসিক সুস্থতার প্রতি লক্ষ্য রাখুন। আত্মীয়দের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করুন। বাসার সবার সাথে আড্ডা দিন, ঘরোয়া খেলা খেলুন, গান শুনুন, বই পড়ুন ইত্যাদি।
  • টিভিতে অতিরিক্ত সংবাদ শোনা থেকে বিরত থাকুন। দিনে একবার সংবাদ শুনুন।

এসবের পাশাপাশি নেশার বদঅভ্যাস থেকে দূরে থাকুন। মনে রাখবেন ধূমপান শুধু নিজের নয়, পরোক্ষভাবে বাড়ির অন্যান্যদেরও ক্ষতি করে। সেই সঙ্গে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি নষ্ট করে। 

জিরোআওয়ার২৪/এমএ     

এই বিভাগের আরও খবর