img

করোনার কালো প্রভাব হালখাতার ব্যবসায়ে। নববর্ষের উৎসবের সাথে বেহাল অবস্থা হালখাতার বিকিকিনিতেও। দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জক। যেখানে পালন করা হয় সবচেয়ে বড় হালখাতা উৎসব। সেই জমজমাট হালখাতার চিরচেনা চেহারা আজ ভিন্ন। ক্ষতির মুখ দেখছেন হালখাতার বাইন্ডিং হাউসগুলো।

প্রতিবছর হালখাতার চাহিদা মাথায় এবছরও তৈরি করা হয়েছিল নানা আকারের ও রঙের হালখাতা। তবে করোনাভাইরাসের কারণে পালন হচ্ছে না হালখাতা। ফলে ক্রেতার দেখা মিলছে না হালখাতা স্টোরে।

চৈত্রের শেষদিন সোমবার (১৩ এপ্রিল) খাতুনগঞ্জ ঘুরে দেখা যায় থমথমে চিত্র। ঐতিহ্য রক্ষা করতে যা কিছু হালখাতা তার দাম কিছুটা বাড়তি পড়ছে। লোকসান কমাতেই বাইন্ডিং হাউসের এই উদ্যোগ।

এক গ্রাহক জানান, দেড় দিস্তার দুইটি হালখাতা নিয়েছি ৭০০ টাকা দিয়ে। গত বছরের চেয়ে দাম একটু বেড়েছে। তবে আমরাও মানা করছি না। সবাইকে ক্ষতির ব্যপারে ভাবতে হয়। সেটা আমরা বুঝি। আরেকজন ক্রেতা বলেন, গত বছর ৪টি হালখাতা নিয়েছিলাম ১ হাজার ৩০০ টাকায়, এবার নিলাম ১৬০০ টাকায়। তারপরও বহু বছরের ঐতিহ্য বাঁচাতে দোকানদারদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।

এক বাইন্ডিং হাউসের মালিক জানান, প্রতিবছর বিভিন্ন জেলা উপজেলার ব্যবসায়ীরা আমাদের কাছ থেকে হালখাতা নিয়ে যায়। এবার লকডাউনের কারণে বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ। তাই বেচাবিক্রি নেই বললেই চলে। পুরানো ক্রেতারা দু একটা নিচ্ছে মাত্র।

আরেকজন বিক্রেতা বলেন, সেই ১৯৮৫ সাল থেকে ব্যবসা করছি। দাদার দোকানে বাবা তারপর আমি বসি। হালখাতার দিনে রমরমা থাকতো সারাদিন। তবে এবারের মতো বেহাল ব্যবসা জীবনে কোনো দিন দেখিনি।

ক্ষতির মুখ দেখতে হচ্ছে অনেক ট্রাক ড্রাইভারদেরও। বছরের পর বছর হালখাতার লেনদেনে ট্রাক ড্রাইভারদের সাথে ব্যবসায়ী তৈরি হয়ে গিয়েছিল। তাই হালখাতার ভাড়া অনেকটাই নিশ্চিত থাকে প্রতিবছর। কিন্তু এবার আর সেই ভাড়া পাচ্ছে না এসব ট্রাক মালিকরা। ফলে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে তাদেরও।  

জিরোআওয়ার২৪/এমএ 

এই বিভাগের আরও খবর