img

আজ পহেলা বৈশাখ। রুক্ষতা ও শুষ্কতার মধ্যে যাত্রা শুরু হল ১৪২৭ বাংলা বর্ষের। তবে নববর্ষের প্রথম প্রহর একেবারে সুনসান। চারুকলা, রমনার বটমূল সব খাঁ খাঁ করছে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বন্ধ করা হয়েছে বর্ষবরণের সকল আয়োজন।

নববর্ষের উৎসবের সাথে পালন করা হচ্ছে না ঐতিহ্যবাহী হালখাতার রীতিও। চৈত্রের শেষ দিনে পাইকারি ব্যবসায়ীয়া তাদের বকেয়া পাওয়া আদায় করে হালখাতার মাধ্যমে। সেই সাথে শুরু করে নতুন বছরের হিসাব। তবে এইবারের চিত্র ভিন্ন। একেবারেই নিরিবিলিভাবে দিন কাটছে দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার চিটাগংয়ের খাতুনগঞ্জ। একইসাথে বেহাল অবস্থা জমজমাট থাকা হালখাতার চিরচেনা কিছু বাইন্ডিং হাউসের।

১৯৬৭ সাল থেকে প্রতিবছর রমনার অশ্বত্থমূলে ছায়ানট আয়োজন করে আসছে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান। নতুন বছরের প্রথম সূর্যের আলো ফোটার ক্ষণটিতে সমবেত হয় শিল্পীরা। গেয়ে ওঠেন আবাহনী গান। চলতো দিনভর কবিতা, নাচ, গানের আসড়। মানুষ প্রাণের টানে ছুটে যেত রমনার সেই আয়োজনে। স্বাধীনতার পর পয়লা বৈশাখ পেল সাধারণ ছুটির দিনের মর্যাদা। ছোট পরিসরে শুরু হওয়া বটমূলের সেই আয়োজন ধীরে ধীরে দেশের অন্যতম বৃহৎ উৎসবের আয়োজন।

১৯৬৭ সালের পর থেকে শুধুমাত্র ১৯৭১-এ পালিত হয়নি বটমূলের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। এমনকি ২০০১ সালের জঙ্গি হামলার মধ্যেও ছেদ পরেনি বর্ষবরণ আয়োজনে। এবার আবার ইতিহাস তৈরি হল। করোনার কারণে পালন হচ্ছে না পহেলা বৈশাখের আনন্দ উৎসব। মানুষের পদস্পর্শশূন্য উদ্যানের ঘাসগুলো বাড়ছে স্বতঃস্ফূর্তভাবে। বটের মূলে নদীর কূলে সোনার বাংলার আঁচল বিছানো আছে, সেই ছায়া আছে, মায়া আছে, শুধু মানুষ নেই।

মানুষ নিশ্চয়ই বিজয়ী হবে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে। আবারও আমরা মুখর হব নবান্নের উৎসবে, নববর্ষ বরণে, স্বাধীনতা দিবসে। ছায়ানটের ৫৩তম বর্ষবরণের আয়োজন রমনার বটমূলে মানুষের উপস্থিতিতে হতে পারল না। ৫৪তম বর্ষে এসে আমরা দ্বিগুণ হব।

জিরোআওয়ার২৪/এমএ

এই বিভাগের আরও খবর