img

বৈশাখ আসতে বাকি আছে সপ্তাহখানিক। তারমধ্যেই ভ্যাপসা গরমের আঁচ পাওয়া যাচ্ছে বাতাসে।   বোঝাই যাচ্ছে এবারও গ্রীষ্মকাল ঝলসে দিবে মানব জীবনকে। এসবের মাঝে আবার করোনার উত্তাপ আমাদের খুব জলদি হাপিয়ে তুলেছে। অস্বস্তি কাটাতে যে বাহিরে গিয়ে চুমুক দিবেন ঠান্ডা ঠান্ডা কোল্ড কফি কিংবা জুসে, তারও উপায় নেই। তাই গলা শুকিয়ে কাঠ হওয়ার আগেই নিজেদের প্রস্তুত থাকা চাই।

তৃষ্ণা জুড়াতে বিশুদ্ধ পানির জুড়ি নেই। সাথে লেবুর রস যেন অমৃত। যুগ যুগ ধরে পরিচিত লেবুর শরবতকে খুব সাধারণ মনে করলেও তা কিন্তু মোটেও সাধারণ নয়। তৃষ্ণা নিবারণের পাশাপাশি শরীরের অনেক উপকার সাধন করে লেবুর পানি।

ঢাকার বারডেম হাসপাতালের পুষ্টিবিদ শামছুন্নাহার নাহিদ জানান, এখন সর্দিকাশি, করোনা এসব নিয়ে জনমনে বেশ উদ্বেগ–শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। লেবুপানি সর্দিকাশিতে উপকারী, করোনার ক্ষেত্রেও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

গরমে অতিরিক্ত ঘামে শরীর থেকে প্রচুর পানি বের হয়ে যায়। ফলে তৃষ্ণাও পায়। অতিরিক্ত পানি বের হয়ে গেলে রক্তের ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্যে ব্যাঘাত ঘটার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়। তাই শামছুন্নাহার বলছেন, লেবুপানি শরীরে পানি ও ইলেকট্রোলাইটের সমতা রক্ষা করে। সেইসাথে ঘাম শরীরে যে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের জন্ম দেয়, তাও ধ্বংস করে ফেলে। এ কারণেই লেবুপানি করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য উপকারী হিসেবে কাজ করবে।

লেবুপানি রক্ত পরিশোধনেও ভালো কাজ করে। এটি শ্বেতকণিকার পরিমাণ ও হিমোগ্লোবিনের কার্যকারিতা বাড়ায়। একই সাথে লেবুপানি যকৃতের সংক্রমণও প্রতিরোধ করে, পরিপাকের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।

লেবুর রসের পাঁচ শতাংশ সাইট্রিক অ্যাসিড। লেবুতে ভিটামিন সি বিপুল পরিমাণ। মাঝারি আকারের একটি লেবুতে এর পরিমাণ প্রায় ৪০ মিলিগ্রাম, যা একজন মানুষের প্রতিদিনের ভিটামিন সি–এর চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট। অনেকভাবেই এই রস পান করা যায়—সালাদে, শরবতে।

মনে রাখবেন, যাদের অ্যাসিডিটি বা আলসার কিংবা কিডনিতে সমস্যা, তাদের পুষ্টিবিদের পরামর্শ ছাড়া লেবুপানি বা শরবত পান করা ঠিক নয়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিতে হবে।  

জিরোআওয়ার২৪/এমএ

এই বিভাগের আরও খবর