img

আজ জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস। প্রতিবছর জাকজমকভাবে উদযাপিত হলেও এবছর কেটে যাচ্ছে একেবারেই নিরবে। বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা স্থবির। এমন অবস্থায় মন্ত্রণালয় থেকেও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তাই অঘোষিতভাবেই বাতিল হয়ে গেছে দিবসটির আয়োজন।

১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল ‘পূর্ব পাকিস্তান চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা’ বিল আইন পরিষদে পাস হয়। সেই থেকে জন্মলাভ করে চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা এফডিসি। ২০১২ সাল থেকে এই দিনে জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস উদ্‌যাপন শুরু হয়। আট বছরের নিরবচ্ছিন্ন আয়োজন আজ থেমে গেছে করোনা আতঙ্কে।

এ দিনে এফডিসি সাজে রঙিন ব্যানার-ফেস্টুনে। বের হয় শোভাযাত্রা। স্থিরচিত্র প্রদর্শনী হয়। সেই সাথে থাকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। সাজ সাজ রব পড়ে চলচ্চিত্রের কারখানায়। আয়োজনে যোগ দেন চিত্রতারকারা, সরকারি কর্মকর্তারা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর শুরু হয় দিনব্যাপী নানান আয়োজন। নাচে-গানে ভড়ে ওঠে এফডিসি চত্বর।

শুধু এফডিসি প্রাঙ্গণে নয়, ভীড় জমে বাহিরেও। পছন্দের তারকাদের দেখতে এফডিসি’র গেটে ভীড় জমায় অসংখ্য ভক্তরা। তাদের এক ঝলক দেখতে সকাল থেকে সন্ধ্যা অবদি দাঁড়িয়ে থাকেন ভক্তদের অনেকেই।

প্রতিবছর সাধারণের নজর কারে চলচ্চিত্র দিবসের অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের আমেজের পাশাপাশি চলে মান-অভিমানও। আমন্ত্রণ না পেয়ে মনঃক্ষুণ্ণ হয় অনেক শিল্পী। আবার শিল্পীকে না পেয়ে মন খারাপ করে অনেক আয়োজকও। দুই ভাগে দিবসটি উদযাপনেরও নজিরও আছে। সরকারিভাবে একটি অনুষ্ঠান, শিল্পী-নির্মাতারা মিলে করে আরেকটি অনুষ্ঠান।

এবছরের আয়োজন না হওয়া নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার। তিনি বলেন, প্রতিবছর চলচ্চিত্র দিবসকে ঘিরে ব্যস্ত থাকতাম। অনেকদিন আগে থেকেই হুড়াহুড়ি লেগে যেত। এবার খুব ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। তবে বৃহৎ স্বার্থে এটুকু মেনে নেয়া যায়। সবাই সুস্থ থেকে পরের বছর আবার দিবসটিতে একত্রীত হব আশা করছি।

অভিনেতা কায়েস আরজু বলেন, ভালো লাগত দিনটি। সিনেমার লোকদের সম্পূর্ণ নিজেদের একটি দিন। সাধারণত এফডিসি ঘুরে ঘুরে দিনটি কাটাই। আড্ডা দেই। অনেকের সঙ্গে অনেক দিন পর দেখা হতো। এবার অনুষ্ঠান হলেও হয়তো একই রকম হতো।

করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে আমাদের জীবনে। তাই সমস্ত প্রতিষ্ঠানে ছুটি, নেই ছোটাছুটি। নীরবেই কেটে যাবে চলচ্চিত্র দিবস।

জিরোআওয়ার২৪/এমএ

এই বিভাগের আরও খবর