img

মানুষের জীবনে বিয়ে একটি জরুরী অধ্যায়। তাই বিয়ে নামক নতুন যাত্রার প্রারম্ভেই হতে হবে অনেক বেশি সচেতন। এক্ষেত্রে আমরা সাধারণত শুধু মানসিক বিষয়গুলোকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকি। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিয়ের আগে জেনে নিতে হবে কিছু শারীরিক বিষয়ও।

বর্তমান সময়ের অনিয়ন্ত্রিত জীবন ও দূষণ মানব জীবনকে করে তুলেছে অসহনীয়। শরীরে বাসা বেঁধেছে হাজারও জটিলতা। তাই বিবাহিত জীবনের শান্তি ও নিশ্চয়তার জন্য বর-কনে উভয়কে দিতে হবে কিছু মেডিকেল পরীক্ষা। অন্যথায় সমস্যায় পরতে আপনার বিবাহিত সম্পর্ক।

রক্ত পরীক্ষা:

রক্তে বাহিত হয় নানা রোগ। যেমন- হিমোফিলিয়া, থ্যালাসেমিয়া ইত্যাদি। যার প্রভাব পরতে পারে ভবিষ্যত প্রজন্মের উপরেও। তাই আগেই জেনে নিন।

জেনেটিক পরীক্ষা:

জেনেটিক ডিসঅর্ডার কিন্তু এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে ছড়াতে পাড়ে। তাই বিয়ের আগে জেনেটিক টেস্ট করা খুবই জরুরী। সম্ভব হলে বিয়ের আগে দুই পরিবারের মেডিক্যাল হিস্ট্রি জেনে নিবেন।

HIV পরীক্ষা:

বিয়ের আগে HIV বা অন্য কোনরকম সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিসিসেজ আছে কিনা তা জেনে নিতে হবে। গনোরিয়া, সিফিলিস, ওয়ার্টস, ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিসের মতো মারাত্মক অসুখ সঙ্গীর শরীর থেকে আপনার শরীরে প্রবেশ করতে পারে।

ফার্টিলিটি পরীক্ষা:

চিকিৎসা পদ্ধতি আধুনিক হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সেই সঙ্গে বেড়েই চলেছে বন্ধ্যাত্ব সমস্যা। সন্তানের অভাব অনেকেই মেনে নিতে পারে না। ফলে তৈরি হয় পারিবারিক কলহ। তাই বিয়ের আগে দুজনকে ফার্টিলিটি টেস্ট করাতে হবে। পুরুষের জন্য সিমেন টেস্ট আর মেয়েদের জন্য ওভিউলেশন টেস্ট। একই সাথে পেলভিক আল্ট্রাসাউন্ড, প্রোল্যাক্টিন, FSH, LH, টেস্টোস্টেরন, ইস্ট্রোজেন, প্রোজেস্টেরন ইত্যাদি হরমোনের পরীক্ষা করাতে ভুলবেন না।

মনে রাখবেন, বিয়ের মতো শারীরিক সমস্যাও অনেকটা ভাগ্যের উপর নির্ভর করে। তবে সচেতনতা জীবনের সর্বক্ষেত্রেই কাম্য। এতে যেমন আগামী জটিলতা এড়ানো যায়। তেমনি মানসিক ভাবে নিশ্চিন্ত থাকা যায়।

জিরোআওয়ার২৪/এমএ

এই বিভাগের আরও খবর