img

করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি মিলতে, বারবার বলা হচ্ছে অসুস্থ পশুপাখি থেকে দূরে থাকতে। তবে আপনার আদরের পোষা প্রাণীটি যে ইতিমধ্যে অসুস্থ নয়, সেই ব্যপারটাও নিশ্চিত হওয়া যায় না। জানেন তো, অনেক অসুখের উপসর্গ কিছুটা দেরিতে দেখা দেয়? তারপরও অসুখের এই মৌসুমে পোষ্যের যত্ন নিতে হবে কিছুটা বেশি করে। আজ তবে জানবো বিড়ালের যত্নে কি কি করতে পারি আমরা।

এখন যেহেতু বাসায় অবস্থান করছেন। তাই বিড়াল যাতে ঘরে থেকে থেকে বিরক্ত না হয়, সেই জন্য আপনার বাসাকে বিড়ালের উপযোগী রাখুন।

  • রান্নাঘর থেকে বিড়ালকে বিরত রাখতে ছোট ফাঁসের নেট, তার বা নাইলনের দড়ি দিয়ে বেড়া দিতে পারেন।
  • ঘরে তেলাপোকা বা ইঁদুরের বিষ ব্যবহার করবেন না। বিড়াল মুখে দিতে পারে।
  • বৈদ্যুতিক সুইচ, ছেঁড়া তারের দিকে খেয়াল রাখুন।
  • গাছের টবে ব্যাঙের ছাতা গজালে তা পরিষ্কার করে ফেলুন।
  • বাড়িতে ফার্নগাছ রাখতে চাইলে, অ্যাসপারাগাস বাদে অন্যান্য ফার্ন রাখুন।
  • বিড়ালকে সময় মতো টিকা দিন। বিড়ালের চিকিৎসক থেকে জেনে নিন টিকা দানের উপযুক্ত সময়।  
  • বিড়ালকে ছাদে নিয়ে গেলে সাবধান। অনেক সময় বিড়াল পাখি ধরতে লাফ দেয়। এতে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বারান্দার গ্রিলে বড় ফাঁকা থাকলে, তাও বন্ধ করে দিতে হবে।
  • অনেকে আদর করে বিড়ালকে কলার পরাতে পছন্দ করেন। তবে কলারের কারণেও দুর্ঘটনা ঘটে। তাই আপনি কাছাকাছি না থাকলে কলার না পরানোই ভাল।
  • বিড়াল যেন সুস্থ থাকে তাই তাকে পরিষ্কার পানি পান করান।
  • উন্নত মেলামাইনের পাত্রে খাবার ও পানি দিন।
  • এখন বিড়ালের খাবার কিনতে বাহিরে যাওয়াটা ঠিক নয়। তাই বাড়িতে ঘাস রাখুন। প্রয়োজন হলে বিড়াল ঘাসও খায়।
  • যেকোন খাবার বা ওষুধ, মুখের এক পাশ থেকে দিন। মুখের মাঝ বরাবর দিলে শ্বাসনালিতে সংক্রমণ হতে পারে।
  • বিড়ালের প্রস্রাব-পায়খানার স্থান পরিষ্কার রাখুন।
  • উকুন এড়াতে ৬ সপ্তাহের বেশি বয়সী বিড়ালকে ফ্লি-নাশী স্প্রে করতে পারেন। এর কম বয়সীর ফ্লি চিরুনি দিয়ে বের করতে পারেন। উকুননাশক শ্যাম্পু দিয়েও গোসল করাতে পারেন।গোসলের সঙ্গে সঙ্গে মুছিয়ে দিন।
  • কখনোই খুব গভীর করে নখ কাটা যাবে না।
  • ঘুমের সময় ছাড়া অন্য সময় ঘরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখুন।

করোনাভাইরাসে ভয়?

পশুপাখির সঙ্গে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কোনো যোগসূত্র এখনো পাওয়া যায়নি। তারপরও সতর্ক থাকা ভালো। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে এই কয়েকটা দিন বিড়ালকে ঘরে রাখুন। বিড়ালকে ধরার আগে ও পরে নিয়মমাফিক হাত ধুয়ে নিন। যেহেতু এখন ঘরে থাকার ফলে বিড়ালের ঘুরাঘুরি কম হচ্ছে। তাই তার সাথে বেশি করে খেলুন। আঁচড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট জায়গা করে দিন। সম্ভব হলে বেয়ে ওঠার মতো কিছুর ব্যবস্থা করুন।

জিরোআওয়ার২৪/এমএ

এই বিভাগের আরও খবর