img

করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে ও পরিবারকে বাঁচাতে আমাদের কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। যেহেতু এই ভাইরাসের ঔষুধ ও ধরন নিয়ে এখনো নিশ্চিত হতে পারছে না, তাই এইসব নিয়মই পারে আমাদের সুরক্ষিত রাখতে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এ বিষয়ে কিছু উপদেশ দিচ্ছে। আসুন, জেনে নেয়া নেই সেগুলো-

[অসুস্থ বোধ করলে, জ্বর, কাশি বা শ্বাসকষ্ট হলে স্বাস্থ্যকর্মী অথবা আইইডিসিআরের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আইইডিসিআরের হটলাইন নম্বর: ০১৯২৭৭১১৭৮৪, ০১৯২৭৭১১৭৮৫, ০১৯৩৭০০০০১১ এবং ০১৯৩৭১১০০১১]

- ভাল ভাবে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুলে, করোনাভাইরাস ধ্বংস হবে। তাই কিছুক্ষণ পরপর হাত ধোঁয়া ভাল। হাত ময়লা হওয়ার পাশাপাশি, বাহির থেকে ঘরে ফিরে, অসুস্থ ব্যক্তির পরিচর্যার পর, হাঁচি–কাশি দেয়ার পর, খাবার প্রস্তুত ও পরিবেশনের আগে, টয়লেট ব্যবহারের পর, পশুপাখির পরিচর্যার পর অবশ্যই হাত ধুয়ে ফেলুন।

- সর্দি–কাশি, জ্বরে আক্রান্ত অসুস্থ ব্যক্তির কাছ থেকে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন। একই সঙ্গে অসুস্থ পশুপাখি থেকেও দুরত্ব বজায় রাখুন।

- যেকোন পরিস্থিতিতেই হাত দিয়ে চোখ-নাক-মুখ স্পর্শ করা যাবে না। চোখে কিছু পড়লে বা জ্বালা করলে হাত পরিষ্কার করে নিয়ে, পানির ঝাপটা দিন।

- হাঁচি-কাশি দেয়ার সময় হাত নয়, বরং কনুই দিয়ে মুখ ঢাকুন। হাঁচি থামলে সঙ্গে সঙ্গে হাতের কনুই পর্যন্ত ধুয়ে ফেলুন। সবচেয়ে ভাল রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করলে। ব্যবহৃত টিস্যু ঢাকনা যুক্ত বিনে ফেলুন। মুখের রুমাল জীবাণুনাশক দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

- অসুস্থতা অনুভব করলে ঘরে থাকুন। হাঁচি কাশির প্রবণতা থাকলে ঘরের ভেতরও মাস্ক ব্যবহার করুন।

- এসময় কাঁচা মাছ–মাংস রান্নার ক্ষেত্রে বেশি সাবধান হতে হবে। সম্ভব হলে আলাদা চপিং বোর্ড, ছুরি ব্যবহার করুন। কাটাকাটি শেষ করে সব ভালো করে সাবান–পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। রান্নাঘরে পালিত প্রাণী ঢুকতে দিবেন না।

- এই কয়েকদিন কারো বাসায় যাওয়া বন্ধ রাখুন। অন্যদেরও আপনার বাসায় আসতে নিরুৎসাহি করুন।

- কারো সঙ্গে দেখা হলে হাত মেলানো বা কোলাকুলি করা থেকে বিরত থাকুন।

সঙ্কটকময় এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞের দেয়া তথ্য মেনে চলাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। আপনার একটি ভুল, হাজারো মানুষের জীবননাশের কারণ হতে পারে।

জিরোআওয়ার২৪/এমএ

এই বিভাগের আরও খবর