img

করোনাভাইরাসের কারণে কিছু দিনের মধ্যেই বেড়ে গেছে নিত্য খাদ্য পণ্যের দাম। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে চালের দাম। সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব বলছে, বাজারে মোটা চালের কেজি প্রতি ৩৮ থেকে ৫০ টাকা। ১০ দিন আগেও যা ছিল ৩২ থেকে ৩৮ টাকা। অর্থাৎ দাম বেড়েছে ২৬ শতাংশ।

মোটা চালের পাশাপাশি অন্য চালের দামেও পড়েছে করোনার প্রভাব। ব্রেন্ডের মিনিকেট চালের কেজি ৫৩ থেকে ৫৮ টাকায় উঠেছে। আর সাধারণ মিনিকেট চাল ৫০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫৫ টাকা। যাদের সামর্থ্য আছে, তারা, বেশি বেশি পণ্য কিনে ঘর ভরছেন। আর কারো জন্য নিত্য চাহিদার হিসেবটাই যেন গড়মিল হয়ে যাচ্ছে। মূল্যবৃদ্ধির এই প্রবণতা শুরু হয়েছে ৮ মার্চ থেকে। সেদিনই প্রথম দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির শনাক্ত হয়। ১৭ মার্চে আরও দুজনের করোনা শনাক্ত হলে, বাজার পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে উঠে।  

রিক্সাচালক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও শ্রমজীবী মানুষের জীবনে করোনা আতঙ্কের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে। আয় কমে গেছে উক্ত শ্রেণীর মানুষগুলোর। তাই নিত্য পণ্যের দাম তাদের ইতিমধ্যেই ভাবিয়ে তুলেছে। 

শুধু কি চালের দাম বেড়েছে? টিসিবির হিসাব অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে দাম বেড়েছে ১০টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের। চালের পাশাপাশি সব ধরনের ডালের দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি। খোলা সয়াবিনের দাম লিটারে ৫ টাকা, পেঁয়াজ কেজিতে ২০ টাকা, রসুন ৫০ টাকা, আদা ৩০ টাকা, ডিম ডজনে ২৫ টাকা, আলু কেজিতে ৬ - ৮ টাকা, গরুর মাংস ৩০ টাকা ও ছোলা ৫ টাকা বেড়েছে।

প্রধানমন্ত্রীসহ বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, পণ্যের যথেষ্ট মজুত আছে জানিয়ে অতিরিক্ত পণ্য না কেনার আহ্বান জানালেও জনগণ তা মানছে না।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে মোটা ও সরু চালের সরবরাহ কম। পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, মিলমালিকেরা চাল সরবরাহ কম করেছে। দামও চাইছেন বেশি। প্রমাণ খুঁজতে বেশ কয়েকটি পাইকারি বাজার ঘুড়ে দেখা হয়। কোথাও মোটা চাল নেই। কারওয়ান বাজারের এক চাল ব্যবসায়ী জানান, বৈশাখে নতুন বোরো চাল আসবে বাজারে। তখন চালের দাম কমবে। এছাড়া ক্রেতাদের চাপ কমলেই দাম স্থিতিশীল হবে।

জিরোআওয়ার২৪/এমএ

এই বিভাগের আরও খবর