img

বহু নাটকীয়তার পর ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির মেডিকেল ছাত্রী নির্ভয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় অভিযুক্ত চার আসামির সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (২০ মার্চ) ভারতীয় সময় শুক্রবার সকাল সাড়ে ৫টায় তিহার জেলে এ দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম কলকাতা টুয়েন্টিফোরের সূত্রে জানা গেছে, ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন নির্ভয়ার মা। দেরিতে হলেও বিচার পাওয়াতে খুশি তিনি। শেষ মুহূর্তে চার অভিযুক্তও ভেঙে পড়েছিল বলে খবরে উল্লেখ রয়েছে।

এদিকে, বহুল আলোচিত এ ফাঁসিকে ঘিরে তিহার জেলের বাইরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আধা-সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয় জেলের বাইরে। কিন্তু নিরাপত্তা উপেক্ষা করেই জেলের বাইরে প্রচুর মানুষের ভিড় করে। গোটা তিহার জেল লক-ডাউন করে দেয়া হয়।

এর আগে, অভিযুক্তরা দণ্ড পেছাতে নানা কৌশল অবলম্বন করে এই সাজাকে দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করে। এ নিয়ে দেশটিতে সমালোচনাও শুরু হওয়ায় গত ১৭ জানুয়ারি অভিযুক্ত চার আসামির সর্বোচ্চ সাজা কার্যকরের নতুন সময় ঘোষণা করে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।

উলেক্ষ, ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর দিল্লির একটি হলে সিনেমা দেখে বন্ধুর সঙ্গে বাসে ফিরছিলেন প্যারামেডিকেলের ওই ছাত্রী। ওই বাসে যাত্রী কম ছিল। একপর্যায়ে বাসচালক-সহকারীসহ অন্তত ৬ জন মিলে নির্ভয়ার বন্ধুকে পিটিয়ে হাত-পা বেঁধে বাসের পেছনের দিকে ফেলে রেখে মেয়েটিকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে দুজনকে দিল্লির একটি সড়কের পাশে বাস থেকে ছুড়ে ফেলা হয়। সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর ২৬ ডিসেম্বর মারা যায় নির্ভয়া। এ ঘটনায় ভারতজুড়ে তীব্র বিক্ষোভ শুরু হয়। নির্ভয়ার হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ সাজার দাবিতে দেশটির লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে দিনের পর দিন বিক্ষোভ করতে থাকে।

এই হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি বাসচালক রাম সিং কারাগারে বন্দি অবস্থায় মারা যান। এবং আরেক ধর্ষক অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় আদালতের নির্দেশে তাকে তিন বছরের জন্য কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। পরবর্তিতে, ২০১৩ সালে দেশটির দ্রুত বিচার আদালত বাকি চার ধর্ষকের সর্বোচ্চ সাজা ঘোষণা করেন এবং দেশটির হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগও ওই সাজা বহাল রাখেন।

জিরোআওয়ার/আরএ

এই বিভাগের আরও খবর