img

বুদ্ধির জোরে জয় করা সম্ভব, অসম্ভবকে। শক্তির মাপকাঠিতে ছোট হয়েও, বুদ্ধির জোরে শত্রুকে হার মানানোর অসংখ্য গল্প আছে ইতিহাসেও। বুদ্ধির আরেক নাম ইন্টেলিজেন্স। বুদ্ধি বা ইন্টেলিজেন্স মাপার অনুপাতকে বলা হয় ‘আইকিউ’। সাধারণ ভাবে প্রায় প্রত্যেক মানুষ সমপরিমাণ শক্তি সম্পন্ন ব্রেন বা মস্তিস্ক নিয়ে জন্মে। তবে ব্যাক্তি যত বেশি তার মস্তিস্ককে ব্যবহার করবে, ততো বেশি তার মস্তিস্কের শক্তি বাড়বে। অর্থাৎ শুধু সধারণ বুদ্ধি থাকলে চলবে না। বার বার বুদ্ধির জটিল প্রয়োগে তার জোর বা ধার বাড়াতে হবে। কিভাবে বাড়াবেন বুদ্ধি?  

ধাঁধা বা পাজল সমাধান

বুদ্ধি চর্চার সবচেয়ে পরিচিত পন্থা হচ্ছে ধাঁধা বা পাজলের সমাধান। যুগের পর যুগ ধরে প্রাথমিক ভাবে মানুষ তার বুদ্ধির চর্চা, এর মাধ্যমে করে আসছে। আগে শুধুমাত্র পত্রিকায় ধাঁধা সমাধানের ব্যবস্থা থাকলেও, এখন ধাঁধা সমাধানের আলাদা বই পাওয়া যায়। ছোট শিশুদের জন্য রঙ্গিন ছবির পাজল এখনও বেশ জনপ্রিয়। তবে ভুল একটা রয়ে যায়। সপ্তাহে বা মাসে নয়, প্রতিদিন কিছু সুময়ের জন্য সমাধান করতে হবে এসব ধাঁধা বা পাজল। নিয়মিত বুদ্ধি চর্চার ফলে আপনার বুদ্ধি বাড়াবে সঠিক অনুপাতে।   

কল্পনাশক্তি

সব মানুষ তার একলা সময়ে কিছু না কিছু নিয়ে ভাবতে পছন্দ করে। অনেকে টিভিতে দেখা নাটক, সিনেমার কাহিনী নিয়ে ভাবেন। কেউ ভাবেন, গল্পের বই থেকে পড়া পছন্দের চরিত্র নিয়ে। এধরনের চিন্তা বা কল্পনা মানুষকে উক্ত বিষয়ের নানান দিক বুঝতে সাহায্য করে। যার ফলে চিন্তাশক্তি অনেক বেশি দৃঢ় হয়। সেই সঙ্গে বাড়ে জানার আগ্রহও।

কাজ করুন একাধিক উপায়ে

বুদ্ধি বাড়ানোর প্রধান শর্ত হচ্ছে বুদ্ধির চর্চা। তাই যেকোন কাজে বা উপায়ে প্রয়োগ করতে হবে বুদ্ধির। প্রতিবার ভিন্ন ভিন্নভাবে চেষ্টা করতে হবে। এতে আপনার মস্তিস্ক আরো বেশি সচল থাকবে। বাড়বে মস্তিস্কের শক্তি।  

মেডিটেশন

মেডিটেশন যে শুধু স্ট্রেস কমাবে তা কিন্তু নয়। মেডিটেশন আমাদের মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। সেই সাথে মস্তিস্ককে শান্ত করে, জটিল ভাবে ভাবতে সাহায্য করে। এখানে ‘জটিন’ বলতে, গভীর ভাবে চিন্তা করাকে বোঝানো হয়েছে। তাই ভুল করে ‘কুটিল চিন্তার’ কথা ভাবতে যাবেন না।

ব্যায়াম

ভাবছেন বুদ্ধি বাড়ানোর জন্য জিমে গিয়ে লোহা তুলতে হবে? একেবারেই নয়। প্রতিদিন ৪০ মিনিট হালকা ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করতে হবে। এতে শরীর ফুড়ফুড়ে থাকবে। মস্তিষ্কের উপরও পড়বে ইতিবাচক প্রভাব।

খাদ্যাভ্যাস

অসুস্থতা আমাদের যেকোন কান থেকেই দূরে রাখে। একইভাবে বুদ্ধির চর্চা থেকেও। তাই খাবারে রাখতে হবে স্বাস্থকর খাবার। সেইসাথে জাঙ্ক ফুড থেকে দূরে থাকুন।

পর্যাপ্ত ঘুম

শরীরের মতো মস্তিস্কেরও বিশ্রামের প্রয়োজন। ক্লান্ত মস্তিস্ক কখনো প্রোডাকটিভ ভাবে কাজ করতে পারে না। তাই দিনে ৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে। নির্দিষ্ট সময় মেনে বিশ্রাম নিতে হবে। যখনই নিজেকে ক্লান্ত মনে হবে, তখনি নিজেকে বিশ্রাম দিন। 

নতুন কিছু শেখা

নতুন কিছু শেখার কারণে আমাদের মস্তিস্ক আরো বেশি সমৃদ্ধ হয়। সেই সাথে নতুন কৌশল রপ্ত করতে মস্তিস্ক হয়ে উঠে সচল। ঘটে বুদ্ধির বিকাশ। তাই দাবা, মিউজিক, ছবি আঁকা, রান্না, ড্রাইভিং, সুইমিং, নতুন ভাষা, ক্রাফটিং ইত্যাদি শিখতে পারেন।

দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন

যে কোনো ঘটনা বা পরিস্থিতি অন্যের দৃষ্টি দিয়ে দেখতে হবে। যাচাই করতে হবে। এতে করে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি বিস্তৃত হওয়ার সাথে চিন্তা ভাবনারও প্রসারিত হয়।

এসবের সাথে বেশিবেশি করে পড়ুন। আপনি যে বিষয়ে আগ্রহী, যেসব বিষয় নিয়ে বই, ম্যাগাজিন, পত্রিকা পড়ুন। যত বেশি জানবেন, ততো বেশি ভাবনার পরিধি বাড়বে। আর এটা অবশ্যই আপনার বুদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করবে।

জিরোআওয়ার২৪/এমএ

এই বিভাগের আরও খবর