img

করোনার চিকিত্সায় পুরোনো ওষুধে সাফল্য পাওয়া গেছে। জাপানের তৈরি ইনফ্লুয়েঞ্জার ওষুধ ফেভিপিরাভির করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে স্পষ্টভাবে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছে চীনের মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ। সূত্র- দি গার্ডিয়ান

গতকাল বুধবার (১৮ মার্চ), চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ঝেং জিনমিন দেশটির সাংবাদিকদের জানান, জাপানের ফুজিফিল্ম টয়ামা কেমিক্যালের তৈরি একটি ওষুধ উহান ও শেনঝেনের ৩৪০ জন রোগীর ওপর প্রয়োগ করা হয়। এতে খুবই ভালো ফল পাওয়া গেছে।

তিনি বলেন, ‘এটি খুবই নিরাপদ ও কার্যকর। করোনায় আক্রান্ত রোগীদের ওপর এটি প্রয়োগ করার চারদিনের মাথায় তাদের শরীরে করোনা ভাইরাস নেগেটিভ হয়েছে। অন্য ওষুধে ১১ দিনে ফল পাওয়া গিয়েছিল’।

শুধু তাই নয়, ফেভিপিরাভির নামক ওষুধ যা আভিগান নামেও পরিচিত এর প্রয়োগের পর ৯১ ভাগ রোগীর ফুসফুসের নিশ্চিত উন্নতি দেখা গিয়েছ বলে জানান জিনমিন।

এদিকে, বুধবার জিনমিন এর এই মন্তব্যের পর এই ওষুধ নির্মান কোম্পানি ফুজিফিল্ম টয়োমার শেয়ারের দাম বেরে আকাশ ছুই ছুই। তবে কোম্পানিটি এ ব্যাপারে এখনো মন্তব্য করেনি।

অন্যদিকে, ভালো ফল পাওয়ার আশায় জাপানের ডাক্তাররাও করোনার হালকা লক্ষণ আছে এমন রোগীদের ওপর এই ওষুধ প্রয়োগ করছিল। তবে প্রবলভাবে করোনার লক্ষণ দেখা দেওয়া রোগীর ক্ষেত্রে ফেভিপিরাভির খুব একটা কার্যকর হবে না বলে জানিয়েছে জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

তারা জানায় ৭০-৮০ জন রোগীকে তারা এই ওষুধ দিয়েছিল। যাদের শরীরে ভাইরাসটি অনেক বেড়ে গেছে তাদের ওপর ওষুধটি ভালো কাজ করেনি। এইচআইভির ওষুধ লপিনাভির এবং রিটোনাভিরেরও করোনার রোগীর ক্ষেত্রে একই ধরনের সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

উল্লেক্ষ, ২০১৪ সালে ফুজিফিল্ম টয়ামা কেমিক্যালের ফেভিপিরাভির ওষুধটি তৈরি করে। ২০১৬ সালে গিনিতে ইবোলা ভাইরাসের প্রকোপের পর জাপান সরকার সেখানে এই ওষুধটি সরবরাহ করেছিল।

জিরোআওয়ার২৪/আরএ

এই বিভাগের আরও খবর