img

করোনা আতঙ্কে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যেতে পারে মনে করছেন জনগণ। সরকারের পক্ষ থেকে এধরনের পরিস্থিতিতে পণ্যের দামে কখনোই লাগাম রাক্ষা সম্ভব হয়নি। তাই যেন আতংকটা বেশি। তাই বেশি করে পণ্য কিনে রাখছেন মানুষ। বাজার বাড়তে শুরু করেছে ভিড়। বিভিন্ন দেশে পণ্যের ঘাটতির ব্যাপারে প্রচারের পর থেকে দেশেও শুরু হয়েছে এই ভয়।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, চালের দাম সবচেয়ে বেড়েছে। কেজিতে বেড়েছে ২ থেকে ৪ টাকা। খোলা সয়াবিন, পামতেল, ডাল, ডিম ও আলুর দামও কিছুটা বেড়েছে। সেই সাথে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বিদেশি শিশুখাদ্য ও ডায়াপার।

ক্রেতারা বলছেন, বাজারে মানুষের চাপ বেশি। তার সুযোগ নিচ্ছে দোকানদারেরা। আগে দর-কষাকষির সুযোগ থাকলেও এখন তাদের কথা বলার  সময়ই নেই। ফলে যে দাম বলছে তাতেই কিনতে হচ্ছে এসব পণ্য।

ক্রেতাদের অভিযোগের উত্তরে ব্যবসায়ীরা বলেন, আগামীতে পণ্যের ঘাটতি হওয়ার সুযোগ নেই। তারপরও তারা বিপুল পরিমাণে পণ্য নিচ্ছেন। হঠাৎ এমন অনাকাঙ্ক্ষিত চাহিদা মেটাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। তাই পণ্য দ্রুত আনতে তাদেরও বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে। যার কারণে দাম কিছুটা বেশি হচ্ছে।

অনেক ব্যবসায়ী আবার মনে করছে, যারা এখন বেশি দামে বেশি পণ্য কিনছেন, তাদের পরে আফসোস করতে হবে। চাহিদা কমে গেলে স্বভাবতই দাম কমে যাবে।

নিউমার্কেটের মুদি দোকানি মো. গফুর মিয়া বলেন, যার লাগে এক বস্তা, সে কিনছে তিন বস্তা। পুরানো ক্রেতারা ফোনেই সদাইয়ের অর্ডার দিচ্ছেন। তাই চালে দুই থেকে চার টাকা, মসুর ডাল তিন-চার টাকা, পেঁয়াজে ৪৫ টাকা ও চীনা রসুনে ১৪০ টাকা বেড়েছে। বাজার ঘুরে দেখা যায় আলু ২০-২৫ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৩০ টাকা ও ফার্মের ডিম ১০০ টাকা ডজন দরে বিক্রি হচ্ছে।

চালের দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে চালের আড়তের মালিক বলেন, মৌসুমের শেষ সময়। নতুন চাল উঠতে কিছু সময় লাগবে। তাই হঠাৎ বাড়তি চাহিদার জন্য দাম বেড়েছে। আবার অনেকে সরকারের আদেশ মানছেন না।

এখন আতঙ্কের ব্যাপার হচ্ছে বাড়তি চাহিদার জন্য দোকানিরা যা খুশী দাম চাইতে পারছে। আর ক্রেতারাও সেই দামে পণ্য কিনে নিয়ে এই অন্যায়কে প্রশ্রয় দিচ্ছেন।

জিরোআওয়ার২৪/এম

এই বিভাগের আরও খবর