img

রাজশাহীতে এরশাদের জাতীয় পার্টির মহানগর অফিস দখল করেছেন বঞ্চিত ও বিদ্রোহী নেতাকর্মীরা। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় অর্ধশতাধিক বিদ্রোহী গণকপাড়ায় তালা ভেঙে পার্টি অফিস নিজেদের দখলে নেয়। এরপর বেলা ১১টায় সেখানে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বর্তমান আহ্বায়ক কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা এবং সিনিয়র সহসভাপতি লুত্ফর রহমানকে আহ্বায়ক ও সালাউদ্দিন মিন্টুকে সদস্য সচিব করে ৭১ সদস্যের পালটা কমিটি গঠন করে বিদ্রোহী গ্রুপের নেতাকর্মীরা।

লিখিত বক্তব্যে পালটা কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব বলেন, কতিপয় অসাধু ব্যক্তি জাতীয় পার্টিকে ধ্বংস করতে বিভিন্নভাবে অপচেষ্টা করছেন। তারা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে বিভিন্ন ভুল তথ্য দিয়ে গত ১৫ জানুয়ারি একটি আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন করিয়ে নেন। ঐ কমিটির আহ্বায়ক এনপিপির মনোনয়নে রাজশাহী সদর আসনে আম প্রতীকে নির্বাচন করেছেন। সদস্য সচিব আবু ইউসুফ সেলিম জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) এর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং ছাত্র অবস্থায় তিনি ছাত্রশিবিরের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব কেউই জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না। এছাড়া আহ্বায়ক কমিটির অধিকাংশ নেতা জাতীয় পার্টির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। যারা দীর্ঘদিন থেকে জাতীয় পার্টির রাজনীতির নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন তাদেরকে পরিকল্পিতভাবে বাদ দিয়েছেন। যা পার্টির চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয়নি। এরই ধারাবাহিকতায় অর্ধশতাধিক বিদ্রোহী নেতাকর্মী গতকাল পার্টি অফিসে সামনে জড়ো হন। অফিস তালাবদ্ধ দেখে আরো ক্ষুব্ধ হন এবং পরে তালা ভেঙে অফিসে প্রবেশ করেন। উল্লেখ্য, নতুন আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ অফিসে তালা লাগিয়ে চাবি নিজেদের কাছে রেখেছিলেন।

এদিকে আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব আবু ইউসুফ সেলিম বলেন, যারা তালা ভেঙে পার্টি অফিসে ঢুকেছেন তারা বিদ্রোহী গ্রুপ। তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাকে পালটা কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে তাকে এর আগে তিন বার বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া যাকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে তিনি ছাত্রদল করতেন এবং তার বিরুদ্ধে প্রশ্নফাঁসের মামলা রয়েছে। নগর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিবারণ চন্দ্র জানান, তাদের কাছে কোনো পক্ষই এখন পর্যন্ত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর