img

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে রবিবার আরো ১৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির ন্যাশনাল হেলথ কমিশন সোমবার এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, দেশব্যাপী এই ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার পাঁচশ ৯২ জনে। এমন পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাসকে চীনের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সংকট বলে আখ্যা দিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

রবিবার চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, ১৯৪৯ সালে কমিউনিস্ট চায়না প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এটাই সব থেকে বড় ‘হেলথ এমার্জেন্সি’। তিনি বলেন, আমাদের এই ভুলগুলো শুধরাতে হবে। চীনা প্রেসিডেন্ট অবস্থার গুরুত্ব স্বীকার করে নিয়ে বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য কঠিন এবং একই সঙ্গে চরম পরীক্ষার সময়।’এর আগেও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মন্তব্যে উঠে এসেছিল করুণ ছবি। তিনি বলেছিলেন, করোনাভাইরাসে দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর দুর্বলতা ধরা পড়েছে। তা সারাতে হবে। পরিস্থিতি মোকাবিলা ১১৫০ কোটি মার্কিন ডলার বরাদ্দ করেছে সরকার।এরই মধ্যে রবিবারের সংখ্যা অনুযায়ী এই ভাইরাসের কবলে পড়েছেন ৭৬ হাজার ৯৩৬ জন। চীনের পর বিশ্বের অন্যান্য দেশেও ক্রমেই ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। মৃতের ও আক্রান্তের শঙ্কায় আশঙ্কিত হয়ে ‘হু’ (ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন)-এর পক্ষেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে।সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক সীমাক্ষেত্রেও প্রভাব পড়েছে করোনার। পাকিস্তান ইরানের সঙ্গে বর্ডার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইরানে আট জনের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরেই ইমরান খানের সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন কোরোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দেড়শ ছাড়িয়ে যাওয়ায় দুটি শহরকে ‘স্পেশাল কেয়ার জোন’ হিসেবে ঘোষণা করেছে সে দেশের সরকার। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ৮৮৯ জনের শরীরে নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ৩৯৪ জন। সব মিলিয়ে চীনে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৫ হাজার ৪৬৫ জনে। আর অন্তত ২৬টি দেশে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৬ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে।

সূত্র : পলিটিকো।

এই বিভাগের আরও খবর