img

বর্তমান বিশ্বের রহস্যজনক এই আতঙ্ক 'করোনা ভাইরাস’ সূচনা হয়েছে চীনে। ইতোমধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে আরও ৪৪০ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। জানা গেছে, চীনসহ করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড ও জাপানেও।

আজ বুধবার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বৈঠকে এই ভাইরাসের জন্য বৈশ্বিকভাবে জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা হবে কিনা এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এদিকে, করোনাভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে উন্মুক্ত স্থানে জনসমাগম নিরুৎসাহিত করছে দেশটি। জানা গেছে, মানুষের সংস্পর্শেই সংক্রমিত হচ্ছে এই ভাইরাস। সংক্রমিত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসা দুই হাজার ১৯৭ জন ব্যক্তিকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।(সুত্র:রয়টার্স)

চীনের উহান প্রদেশে গত ডিসেম্বরে ভাইরাসটি প্রথম দেখা দেয়। তারপর থেকেই নতুন নতুন জায়গায় এর উৎপত্তি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ইউহানের সামুদ্রিক খাবার থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছিল। বেশ কিছু গবাদি পশুও আক্রান্ত হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে তাদের ডিম বা মাংস থেকেই এই জীবাণুটি মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।

এর আগে এই জীবাণুর অস্তিত্ব মেলেনি বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা বলছেন ‘এটি আসলে ফ্ল্যাবিও ভাইরাস, যা খুব দ্রুত ছড়িয়ে যাচ্ছে’।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই ভাইরাসের লক্ষন হিসেবে, প্রাথমিকভাবে সর্দি, কাশি থেকে নিউমোনিয়া। সঙ্গে প্রবল জ্বর, শ্বাসকষ্ট হতে পারে । এতে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে না বলে এই ভাইরাসকে দমন করা কঠিন।

এই বিভাগের আরও খবর