শীতেও হোক খুশকি মুক্ত ঝলমলে চুল
শীতে মানেই, রুক্ষ চুল আর খুশকি! ঠান্ডার ভয়ে শীতে এমনিতেই শ্যাম্পু করার মাত্রা কমে যায়। এতে মাথার ত্বকে জমেতে থাকে তেল, ধূলোবালি তো আছেই। ফলে দেখা দেয় খুশকির সমস্যা। অন্যদিকে শীত মানেই বিয়ে, আর বিয়ে মানেই চুলের উপর ড্রায়ার, হেয়ার কার্লার ইত্যাদি যন্ত্রের ব্যাবহার। ফলে খুব দ্রুতই চুল রুক্ষ ও নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে।
তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে শীতে কম স্যাম্পু করলেও চুল স্বাস্থ্যকর ও খুশকি মক্ত রাখা সম্ভব। চলুন জেনে নেই নিয়ম গুলো:
শ্যাম্পুর আগে তেল মালিশ:
সারা বছর কম তেল মাখলেও শীতে তা বাধ্যতামূলক। শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে এই সময় চুলের একটু বাড়তি পরিচর্যার প্রয়োজন, তাই সময় করে শ্যাম্পুর আগে তেল ব্যাবহার করতে হবে। সপ্তাহে তিন দিন ঘুমানোর আগে, নারকেল তেল ও ক্যাস্টর অয়েল গরম করে চুলে দিতে হবে, এ ছাড়াও শ্যাম্পু করার আগে সামান্য গরম নারকেল তেল মালিশ করতে হবে। এর পর একটি তোয়ালে কুসুম গরম পানিতে ভিজিয়ে চুলে আলতো করে পেঁচিয়ে রাখতে হবে। এক ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
শ্যাম্পুতে পানি মিশিয়ে ব্যবহার:
শ্যাম্পু করার আগে তাতে পানি মিশিয়ে পাতলা করে নিয়ে, হাতের তালুতে ঘষে ফেনা তৈরি করে নিতে হবে। তার পর তা মেখে, ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে কন্ডিশনার লাগিয়ে আবার ভাল ক্করে ধুয়ে নিতে হবে।
চুলে সিরাম ব্যবহার করা:
চুলে ব্যবহার করুন হেয়ার সিরাম। প্রতি বার শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার লাগানোর পর চুল ভালো ভাবে মুছে শুকিয়ে নিতে হবে, এরপর হেয়ার সিরাম লাগাতে হবে। সিরাম ব্যবহারের ফলে এতে চুল উজ্জ্বল হবে এবং নরম থাকবে।
স্টাইলিংয়ের যন্ত্র:
চুল শুকোনোর ড্রায়ার, কার্লিং টুল, স্ট্রেটনার এগুলো যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করতে হবে। এতে করে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। কনো অনুষ্ঠানে যেতে হবে বলে ঘন ঘন কার্লিং বা অন্য স্টাইলিং টুল ব্যবহার না করে কখনও একটু ঘড়োয়া ভাবেও চুল সাজিয়ে নিন। একটু ভিন্ন সাজে আপনাকেও যেমন মানাবে, তেমনি চুলও থাকবে স্বাস্থ্যকর।
সিল্কের ব্যবহার:
শীতের দিনে ধুলোবালি অনেক বেশি হয়, তাই আমরা অনেকেই বাহিরে যাওয়ার সময় স্কার্ফ ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু অনেক সময় স্কার্ফ ব্যবহারে চুল পড়া বা ভেঙ্গে যাওয়া বেড়ে যায়। এর কারন স্কার্ফের সাথে চুলের ঘর্ষণ। সিল্ক যেহেতু খুবই নরম ফ্যাব্রিক, তাই এর ঘষাতে চুল ভাঙার ভয় থাকে না। সিল্কের স্কার্ফ চুলে জড়িয়ে রাখলে বাইরের ধুলোবালিও ঠাঁই পায় না চুলে। ফলে কমে যায় রুক্ষতা।
এই কয়টি নিয়ম মেনে চললেই, চুল যেমন স্বাস্থ্যকর থাকবে তেমনি হবে খুশকি মুক্ত ঝলঝলে।