img

ঢাকা: চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে হজে যাচ্ছেন সোয়া লাখেরও বেশি ধর্মপ্রাণ মুসলমান। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল সোয়া ৭টায় ৪১৯ জন যাত্রী নিয়ে হজের প্রথম ফ্লাইট ঢাকার হজরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে। প্রতিবারের মতো রাজধানীর আশকোনা হজক্যাম্প থেকেই যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এবারই প্রথম ঢাকায় ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে প্লেনে উঠবেন যাত্রীরা, ফলে সৌদি আরব গিয়ে থাকবে না কোনো বাড়তি ঝামেলা।

এদিকে এবছর যাতে কোনো দুর্ভোগ না হয়, সে বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সও কঠোর অবস্থানে রয়েছে। বিমানে হজযাত্রীদের যাত্রার তারিখ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে গমনের ২৪ ঘণ্টা আগে ২শ মার্কিন ডলার ও যাত্রার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যাত্রা পরিবর্তনের জন্য ৩শ মার্কিন ডলার বা সমপরিমাণ বাড়তি মাশুল আদায়ের বিধান করেছে এয়ালাইন্সটি। এছাড়া নির্ধারিত ফ্লাইটে না গেলে টিকিটের অর্থও ফেরতযোগ্য হবে না।

হাব জানিয়েছে, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে হজ করতে সৌদি আরব যাবেন ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। তন্মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ হাজার ১৯৮ ব্যালটি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৬ হাজার ৪০১ নন-ব্যালটি হজ করতে যাচ্ছেন।

বিমানের তথ্যমতে, এবার হজ মৌসুমে শিডিউলসহ মোট ৩৬৫টি ফ্লাইটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৬৩ হাজার ৫৯৯ জন হজযাত্রী পরিবহন করবে। অবশিষ্ট যাত্রী পরিবহন করবে সৌদি এয়ালাইন্স। এবার প্রথমবারের মতো হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সম্পন্ন করা হবে।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ৬টায় এবছরের হজযাত্রা কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন বেসমারিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ।

সকাল সোয়া ৭টার উদ্বোধনী ফ্লাইট বিজি-৩০০১ জেদ্দার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবে। এছাড়া একই দিন হজ ফ্লাইট বিজি-৩১০১ সকাল সোয়া ১১টায়, বিজি-৩২০১ বিকেল সোয়া ৩টায়, বিজি-৩৩০১ সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় ও শিডিউল ফ্লাইট বিজি-০০৩৫ রাত সোয়া ৮টায় হাজিদের নিয়ে যাত্রা করবে বিমান।

জানা যায়, হজ মৌসুমে দু’মাসব্যাপী ৩০৪টি ডেডিকেটেড ও ৬১টি শিডিউল ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান। ৪ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রি-হজে মোট ১৮৯টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে (ডেডিকেটেড ১৫৭ এবং শিডিউল ৩২)। পোস্ট হজে ১১৫টি ফ্লাইট চলবে ১৭ আগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত (ডেডিকেটেড ৮৬ ও শিডিউল ২৯)। তার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে মদিনা ১৮টি ও মদিনা থেকে বাংলাদেশে ১৫টি সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। এছাড়া চট্টগ্রামে ১৯টি ও সিলেট থেকে ৩টি হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।

বিমানের জনসংযোগ বিভাগ জানায়, এবছর হজযাত্রীদের ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রুটে পরিবহনের জন্য বিমানের ৪টি নিজস্ব বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রুটে চলাচলকারী বিমানের নিয়মিত শিডিউল ফ্লাইটেও হজযাত্রীরা জেদ্দায় যাবেন। ঢাকা থেকে জেদ্দা প্রতি ফ্লাইটের উড্ডয়ন সময় হবে প্রায় ৭ ঘণ্টা। বিমান পরিচালিত ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইটগুলোর চেক-ইন, ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস আনুষ্ঠানিকতা প্রতিবারের মতো এবারও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংলগ্ন আশকোনা হজক্যাম্পেই
সম্পন্ন করা হবে।

বিমানের উপ-মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার বলেন, হজযাত্রী পরিবহন করতে সব প্রস্তুতি নিয়েছে বিমান।

হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন তসলিম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। আশা করি, এবার হজযাত্রীদের কোনো দুর্ভোগ পোহাতে হবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০১৯

এই বিভাগের আরও খবর