মারামারির ঘটনায় ছাত্রলীগের তদন্ত কমিটি
ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর মারামারির ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ক্ষমতাসীন দলের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনটি।সোমবার গভীর রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- সোমবার ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির সহ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, আইন বিষয়ক সম্পাদক ফুয়াদ হোসেন সাহাদাত এবং তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পল্লব কুমার বর্মন।
সম্মেলনের এক বছর পর সোমবার ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। এর কয়েক ঘণ্টা পর সন্ধ্যায় মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে আসেন অর্ধশত নেতাকর্মী; যাদের কেউ পদ পাননি, কেউবা কাঙ্ক্ষিত পদ না পেয়ে ক্ষুব্ধ।
সংবাদ সম্মেলন শুরুর পরপরই সেখানে হামলা চালিয়ে তা পণ্ড করে দেয় আগে থেকেই সেখানে অবস্থান নেওয়া পদ পাওয়া শতাধিক নেতা।
প্রকাশ্যে চালানো এই হামলায় তারা সংবাদ সম্মেলনের ব্যানার ছিঁড়ে নিয়ে যায় এবং মারধর করে সংবাদ সম্মেলনকারীদের।
নতুন কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামস ই নোমান, মাহবুব খান, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহানুর রহমান, সহ সভাপতি সাদিক খানকে হামলার নেতৃত্বে দেখা যায়।
ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক সাইফ বাবু বলেন, “বিবাহিত, অছাত্র ও চাকরিজীবীদের দিয়ে যেই কমিটি আজকে করা হয়েছে তা বতিলের সংবাদ সম্মেলন করতে গেলে আমাদের ওপর হামলা হয়। আমাদের অন্তত ১৫ জন আহত হয়। আমরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।”
রাতে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নামে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার ইফতার পরবর্তী সময়ে মধুর ক্যান্টিনে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে, আমরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পরিবার তার তীব্র নিন্দা জানাই।
ওই ঘটনার ‘সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি’ দিতে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে এবং ওই কমিটিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তথ্য-উপাত্তসহ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।