img

যশোরের ছয় আসনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছে মহাজোট প্রার্থীরা। জেলার ৬টি সংসদীয় আসনের ৬টি আসনের সবগুলো কেন্দ্রের ফলাফলে ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থীরা জিতে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

যশোর-১ (শার্শা) আসনে মোট কেন্দ্র ১০২টি। সব ক’টি কেন্দ্রের ফলাফলে আওয়ামীলীগের শেখ আফিল উদ্দিন নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ৯ হাজার ৩টি ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মফিকুল হাসান তৃপ্তি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪ হাজার ৮০২টি ভোট।

বিএনপির প্রার্থী মফিকুল হাসান তৃপ্তি দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান ও বর্জনের ঘোষণার পাশাপাশি এই আসনে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।

এ আসনে এই আসনে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বাকী দুই প্রার্থী হলেন হাতপাখা প্রতীকের ইসলামী আন্দোলনের মোহাম্মদ বক্তিয়ার রহমান ও গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জাকের পার্টির সাজেদুর রহমান ডাবলু।

যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ আসনের মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৭৫টি। সব ক’টি কেন্দ্রের ফলাফলে আওয়ামীলীগের মেজর জেনারেল (অবঃ) ডা. নাসির উদ্দিন নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩ লাখ ৩২ হাজার ৯৫টি ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত জামায়াত নেতা মুহাদ্দিস আবু সাঈদ পেয়েছেন ১২ হাজার ৯৮৮টি ভোট। ধানের শীষের প্রার্থী আবু সাঈদ মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন নাশকতা মামলায় কারাগারে থাকায় তার পক্ষে নির্বাচনী এজেন্ট গণমাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন বর্জন করেন।

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির বিএম সেলিম রেজা (কাঁঠাল), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের মোঃ আলাউদ্দিন (মই), ইসলামী আন্দোলনের মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান (হাতপাখা), গণফোরামের এম আসাদুজ্জামান (উদীয়মান সূর্য), জাতীয় পাটির ফিরোজ শাহ্ (লাঙ্গল) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

যশোর-৩ (সদর) আসনটি মূলত জেলার রাজনীতির কেন্দ্র বিন্দু। এ আসনে ৬জন প্রার্থী ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে তারা হলেন জাতীয় পাটির মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (লাঙ্গল) নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে গিয়ে আওয়ামীলীগের কাজী নাবিল আহমেদকে (নৌকা) সমর্থন দেন।

এ আসনে মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৭২টি। সব ক’টি কেন্দ্রের ফলাফলে আওয়ামীলীগের কাজী নাবিল আহমেদ নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩ লাখ ৬১ হাজার ৩৩৩টি ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত পেয়েছেন ৩১ হাজার ৭১০টি ভোট।

অমিত শহরের ভোট কেন্দ্রে হামলার শিকার ও তার গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ করেন।

এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের মারুফ হাসান কাজল (কুলো), জাকের পার্টির মনিরুজ্জামান মনির (গোলাপফুল) ও জেএসডির সৈয়দ বিপ্লব আজাদ (তারা)।

যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর) আসনে মোট কেন্দ্রর সংখ্যা ১৪৫টি। সবগুলো কেন্দ্রের ফলাফলে আওয়ামীলীগের রনজিৎ কুমার রায় নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৮১টি ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির টি এস আইয়ূব ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৯১৯টি ভোট।

এ আসনে মোট ৯জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বাকী প্রার্থীরা হলেন জাতীয় পার্টির মোঃ জহুরুল হক জহির (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলনের নাজমুল হুদা (হাতপাখা), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির লেফটেন্যান্ট কর্ণেল  (অবঃ) এম শাব্বির আহমেদ (কাঁঠাল), বিকল্পধারা বাংলাদেশের নাজিম উদ্দিন আল আজাদ (কুলা), বাংলাদেশ পিপলস পার্টির মোঃ আলী জিন্নাহ (আম), জাকের পার্টির লিটন মোল্লা (গোলাপফুল)।

এদের মধ্যে নানা অভিযোগ তুলে পার্টির প্রার্থী জহুরুল হক জহির ও এনপিপির প্রার্থী মুহম্মদ আলী জিন্নাহ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান ও বর্জনের ঘোষণার পাশাপাশি এই আসনে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।

যশোর-৫ (মণিরামপুর) এ আসনের মোট কেন্দ্র সংখ্যা ১২৬টি। সব ক’টি কেন্দ্রের ফলাফলে আওয়ামীলীগের স্বপন ভট্টাচার্য্য নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ লাখ ৪৩ হাজার ৩৮২টি ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত জমিয়াতে উলামায়ে ইসলামের মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৩ হাজার ১১২টি ভোট।

এ আসনের অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীরা হলেন জাতীয় পার্টির এমএ হালিম (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলনের ইবাদুল হক খালাসি (হাতপাখা), আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্রপ্রার্থী কামরুল হাসান বারী (ট্রাক), জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) নিজাম উদ্দিন অমিত (হুক্কা), জাকের পার্র্টির রবিউল ইসলাম (গোলাপফুল)। এদের মধ্যে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্রপ্রার্থী কামরুল হাসান বারী নির্বাচন প্রত্যাখ্যান ও বর্জনের ঘোষণার পাশাপাশি এই আসনে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।

যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের মোট ভোট কেন্দ্র ৭৯টি। সব ক’টি কেন্দ্রের ফলাফলে আওয়ামীলীগের ইসমাত আরা সাদেক নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৫৪ হাজার ৫৩টি ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আবুল হোসেন আজাদ ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৫৪৮টি ভোট।

এই বিভাগের আরও খবর