img

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী আকবর হোসেন পাঠানের (চিত্রনায়ক ফারুক) প্রার্থিতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ধানের শীষের প্রার্থী ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থের দায়ের করা রিট শুনানি আজ (বুধবার) অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোতাহোর হোসেন সাজু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

হাইকোর্টর বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলম সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন দ্বৈত বেঞ্চে এ রিট আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে গত সোমবার একই বেঞ্চ এ রিট আবেদনের শুনানির জন্য আজকের দিনকে (বুধবার) ধার্য করে আদেশ দেন।

ঋণ খেলাপি হওয়ার পরও নির্বাচন কমিশনে তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনটি দায়ের করেছেন একই আসেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষের প্রার্থী ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থের আইনজীবী সাজেদ শামীম।

রিট আবেদনে ফারুকের মনোনয়ন স্থগিতের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনে তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণার সিদ্ধান্ত কেন বে-আইনি ও আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানাতে রুল জারির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে আন্দালিভ রহমান পার্থ বলেছেন, আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ঋণ খেলাপি। তার মনোনয়ন বৈধ হয়েছে নির্বাচন কমিশনে। এটা কীভাবে সম্ভব? যেখানে সর্বোচ্চ আদালতের প্রতিষ্ঠিত নীতি হলো ঋণ খেলাপি হয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তালিকায় নাম থাকলে তার মনোনয়ন বাতিল হবে।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে তার প্রতিদ্বন্দ্বী এ প্রার্থীর কোনো হলফনামা নেই। এটা গায়েব করল কে?

রিট আবেদন থেকে জানা গেছে, আকবর হোসেন পাঠান ফারুক ডাইং অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। রাজধানীর মতিঝিলের স্থানীয় শাখা থেকে তিন প্রতিষ্ঠানটির নামে ৫ হাজার ৫৩৩ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। তার একক ঋণ হিসাবে সোনালী ব্যাংকের ৩৬ কোটি টাকার ঋণ পুনঃতফসিল হয়নি।

হলফনামার ঘরে একক ঋণের বিষয়টি স্বীকার করলেও তিনি খেলাপি ঋণের পরিমাণ উল্লেখ করেননি। এ সংক্রান্ত কলামে তিনি ‘প্রযোজ্য নয়’ বলে এড়িয়ে গেছেন। কিন্তু পাশের কলাম বা ঘরে গৃহীত ঋণ পুনঃতফসিল না হওয়ার একটি ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘২৭-০৬-২০১৩ হইতে ৩১-০৩-২০১৪ বহুবার আবেদন করেও ব্যাংক কর্তৃক আবেদন গৃহীত হয়নি কেন জানতে পারলাম না।’

এই বিভাগের আরও খবর