img

কুলিয়ারচরে কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনের বিএনপি প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রিয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতি মো. শরীফুল আলমের নির্বাচনী গণসংযোগে পুলিশ গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। পুলিশের গুলিতে অন্তত পাঁচ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হওয়া ছাড়াও বিএনপি প্রার্থী মো. শরীফুল আলমসহ অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে বিএনপি প্রার্থী মো. শরীফুল আলম জানিয়েছেন। অন্যদিকে বিএনপি নেতাকর্মীদের ছোঁড়া ইট-পাটকেলে এক এসআই ও চার কনস্টেবলসহ মোট পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কুলিয়ারচর থানার ওসি মো. নান্নু মোল্লা। সোমবার বিকাল ৪টার দিকে কুলিয়ারচর বাজারের গাইলকাটা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
বিএনপি প্রার্থী মো. শরীফুল আলম জানান, বিকালে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য তিনি উপজেলার বেতিয়ারকান্দি গ্রামের বাড়ি থেকে বড়খারচর যাচ্ছিলেন। পথে বিকাল ৪টার দিকে তিনি কুলিয়ারচর বাজারের গাইলকাটা এলাকা অতিক্রম করার সময় পেছন দিক থেকে পুলিশ অতর্কিতভাবে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় শরীফুল আলমের সাথে থাকা নেতাকর্মীদের উপর পুলিশ নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে। পুলিশের গুলিতে বিএনপির অন্তত পাঁচ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হন। এছাড়া শরীফুল আলম নিজেসহ আরো অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হন।
এ সময় কোন রকমে একটি রিকশায় চড়ে শরীফুল আলম ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
মো. শরীফুল আলম বলেন, পুলিশ এর আগেও আমার পথসভায় হামলা চালিয়ে আমাকেসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আহত করেছিল। পুলিশের লাঠিপেটায় পায়ে গুরুতর আঘাতের কারণে আমি এখনো হাঁটতে পারছি না। এরপরও পুলিশ প্রতিদিন বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে তল্লাসি চালাচ্ছে। তাদেরকে মামলা ছাড়াই গ্রেপ্তার করছে। এর মধ্যেই আজ (সোমবার) গণসংযোগে যাওয়ার সময় পুলিশ নেতাকর্মীদের উপর নির্বিচারের গুলি চালিয়ে তাদের আহত করেছে। নির্বাচনী প্রচারণা থেকে আমাকে দূরে রাখতেই পুলিশ এমন বেপরোয়া আচরণ করছে।
কুলিয়ারচর থানার ওসি মো. নান্নু মোল্লা বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে বেআইনী সমাবেশ করতে গেলে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের বাঁধা দেয়। এ সময় বিএনপির উশৃঙ্খল নেতাকর্মীরা পুলিশের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশের এক এসআই ও চার কনস্টেবল আহত হয়। পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এই বিভাগের আরও খবর