img

আমার ছেলেকেও মারধর করে গুম করতে চেয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন কিশোরগঞ্জ-২ আসনের বিএনপি প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় কটিয়াদী উপজেলার বীর নোয়াকান্দি গ্রামে উঠান বৈঠকে হামলা হয়। এতে রক্তাক্ত জখম হয়েছেন ধানের শীষের এ প্রার্থী।

এ ছাড়া হামলায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আখতারুজ্জামানের ছেলে হাবিবুজ্জামান রনিসহ অন্তত তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

আখতারুজ্জামানের অভিযোগ, নির্বাচনী গণসংযোগের অংশ হিসেবে রাতে তিনি উঠান বৈঠক করছিলেন। এ সময় তার কর্মী-সমর্থকদের ওপর সাদা পোশাকে পুলিশ এসে হামলা চালায়।

এ ঘটনার পর মঙ্গলবার ভোরে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন বিএনপির এ প্রার্থী।

তিনি লেখেন-আমার ছেলেকেও মারধর করে গুম করে ফেলতে চেয়েছিল। কটিয়াদী থানার ওসিকে অনুরোধ করার পর সে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে থানায় নিয়ে যায় এবং পরে ছেড়ে দেয়।

‘ছেড়ে দেয়ার সময় কিশোরগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমার ছেলেকে স্পষ্ট করে বলে দেয়- ধানাইপানাই না করে আমরা যেন নির্বাচন ছেড়ে চলে যাই। পুলিশ নাকি যে কোনো মূল্যে সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদকে পাস করাবেই।

আখতারুজ্জামান লেখেন-গতরাতের ঘটনায় পুলিশ মামলা সাজানোর জন্য এসআই তরিকুল, এএসআই আলমগীর, এসআই নাজিউর রহমান, এএসআই নূর আহাদ, এএসআই বজলুর হুদা ও এসআই জহিরুল ইসলামকে কটিয়াদী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে।

‘৪টি মোটরসাইকেল নাকি গুড়া করে ফেলা হয়েছে এবং দুটি মোটরসাইকেল ভেঙে ফেলা হয়েছে। কিন্তু সবাই মোটরসাইকেলে চড়ে ঘটনাস্থল থেকে থানায় ফিরে যায়।’

তিনি লেখেন-আমার সামনেই হাসপাতালে এএসআইদের দেখতে উপস্থিত হন এএসপি। যখন ডাক্তাররা আমার আহত হওয়ার চিকিৎসা করছিল কিন্তু আমাকে একবারও জিজ্ঞাসা করলেন না আমি কীভাবে আহত হলাম। তবে সিভিল কাপড়ে কেন তারা ডিউটি করতে গিয়েছিল তার জন্য কিঞ্চিৎ ভর্ৎসনা করেছিলেন।

সাবেক এ সাংসদ আরও লেখেন-পুলিশ রাষ্ট্রের একটি অতিপ্রয়োজনীয় সিভিল অর্গান, যা ছাড়া একটি রাষ্ট্র চলতে পারে না। আমি দুবার সংসদ সদস্য ছিলাম। আজকের পুলিশের আধুনিকীকরণ এবং বিশেষ করে কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশের উন্নয়নে আমার ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অবদান আছে। আমি বিশ্বাস করি, পুলিশ ছাড়া আধুনিক সভ্য রাষ্ট্র কল্পনা করা যায় না।

‘কিশোরগঞ্জের সাংবাদিকতার মানোন্নয়ন প্রয়োজন। গতরাতের ঘটনার সঙ্গে আওয়ামী লীগের ন্যূনতম সম্পর্ক নেই অথচ জাতীয় মিডিয়ায় অবলীলাক্রমে প্রচারিত হয়েছে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে নাকি পুলিশ এবং আমরা আহত হয়েছি। অথচ ঘটনাস্থলে আওয়ামী লীগের একজন ক্ষুদ্র কর্মীও উপস্থিত ছিল না। জাতীয় সংবাদমাধ্যমে বিশেষ করে টেলিভিশনে এ ধরনের বানোয়াট খবর পরিবেশন খুবই লজ্জাস্কর।

‘আমি ধন্যবাদ জানাই সাবেক আইজিপি ও নৌকার প্রার্থী নূর মোহাম্মদ সাহেবকে ঘটনাটির ব্যাপারে আমার খোঁজখবর নেয়ার জন্য এবং আমাদের ওপর পুলিশের বেআইনি কার্যকলাপে দুঃখ প্রকাশ করার জন্য।’

এই বিভাগের আরও খবর