img

তিন দিন আগে হার্ট অ্যাটাকের পর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি; সেখান থেকেই মঙ্গলবার মৃত্যুর দেশে পাড়ি জমিয়েছেন তিনি।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী টুটুলের বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। তিনি স্ত্রী ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন।

সবার শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে মুক্তিযোদ্ধা টুটুলের মরদেহ। এরপর তার জানাজা হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে।

চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড জানিয়েছে, টুটুলের ছোট মেয়ে অমৃতা আনাম যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী। বড় মেয়ে ঐশী আনাম দেশে ফিরেছেন। ছোট মেয়ে ফেরার পর তার দাফন হবে।

তেভাগা আন্দোলন নিয়ে আধিয়ার নির্মাণের মধ্য দিয়ে পরিচিতি ছড়ালেও চলচ্চিত্র সম্পাদনার জন্য এই জগতে টুটুলের খ্যাতি অনেক আগে থেকে। সম্পাদনার জন্য ১৯৭৯ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জেতেন তিনি।

‘কালবেলা’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের কাজে হাত দিয়েছিলেন টুটুল; কাজ অনেকটা এগিয়েছিল, তা শেষ করার আগেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি।

হৃদরোগে আক্রান্ত হলে গত ১৫ ডিসেম্বর রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় টুটুলকে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিসিইউতে নিয়ে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।

মঙ্গলবার বিকাল সোয়া ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে হাসপাতালের এজিএম (কর্পোরেট-কমিউনিকেশন) সাইফুর রহমান লেনিন নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল তার। তিনি হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ মাহবুবুর রহমানের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজ বিকাল সোয়া ৩টার দিকে তিনি মারা যান।”

এই বিভাগের আরও খবর