img

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে ৩ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে সহিংসতাপ্রবণ এলাকাগুলোর জন্য থাকবে আলাদা সতর্কমূলক ব্যবস্থা। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও নারী ভোটারদের নিরাপত্তার ওপরও নজর থাকবে ইসির।

বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে ইসির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

পরিসংখ্যান বলছে, ৯১ ও ২০০৮-এ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ হলেও এর আগে-পরের নির্বাচনগুলোতে ঘটেছে কমবেশি সহিংসতা।

ভৌগোলিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে সাধারণ এলাকা, মেট্রোপলিটন এলাকা ও দুর্গম এলাকার জন্য পৃথক নিরাপত্তা ব্যবস্থার পরিকল্পনা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এলাকাভেদে ভোটকেন্দ্র পাহারায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য থাকবেন ১৫ থেকে ১৮জন। কেন্দ্রের বাইরে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে রাখার পরিকল্পনা সেনা ও নৌ বাহিনীকে। র‌্যাব, বিজিবি, কোষ্টগার্ড ও আর্মড পুলিশ সদস্যরা টহল দিবেনে স্ট্রাইকিং ও মোবাইল ফোর্স হিসেবে।

এছাড়া, সহিংসতা প্রবণ এলাকার জন্য থাকবে আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, পূর্বের নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। যে জায়গাগুলোতে সহিংসতা ঘটেছে শুধু তার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবেনা। যে জায়গাগুলো অরক্ষিত মনে হবে সেখানে আলাদা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নারী এবং সংখ্যালঘুদেরও আমরা অরক্ষিত হিসেবে মনে করি।

সবমিলিয়ে ৬ লাখের বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের পাশাপাশি ভোটের পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ ও আচরণবিধি তদারকিতে মাঠে থাকবেন দেড় হাজারের বেশি জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

এই বিভাগের আরও খবর