img

জাল সনদ বিক্রেতা আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির তথাকথিত ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য শহীদ তালুকদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যানকে অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) উপসচিব জিনাত রেহানা স্বাক্ষরিত চিঠিটি ইউজিসিতে পাঠানো হয়েছে বলে দৈনিক শিক্ষাকে নিশ্চিত করেছে একাধিক সূত্র।

আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির বিরুদ্ধে বিএডসহ বিভিন্ন বিষয়ের জাল সনদ বিক্রির অভিযোগ অনেক দিনের। আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির তথাকথিত ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য শহীদ তালুকদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি টাকার বিনিময়ে জাল সনদ বিক্রি করেন। এমনকি র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এ সনদ বিক্রির অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে।

জানা যায়, সনদ বিক্রিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে ২০০৬ খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর মাসে আমেরিকা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়টি বন্ধ করে দেয় সরকার। সদ্যপ্রয়াত বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলামের শ্যালিকা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার সমিতির সাবেক সভাপতি নাছরিন বেগম ও তার স্বামী ও অন্যান্য আত্মীয়স্বজনরা এই আমেরিকা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করে আসছিলেন।  সনদ বিক্রির অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়া অপরাপর ৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে এটিকেও বন্ধ করে সরকার। কিন্তু ২০১২ ও ২০১৩ খ্রিস্টাব্দের দিকে ফের সনদ বিক্রি শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়টি।   

 ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ১৭ ফেব্রুয়ারি র‌্যাব অভিযান চালিয়ে জাল সনদ বিক্রি করার সময় আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার মাকসুদা আক্তার ও সহকারী রেজিস্ট্রার সোহাগান জেরিনকে গ্রেফতার করে।  ওইসময় রাজধানীর মালিবাগে আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে অভিযান চালিয়ে বিবিএ, এমবিএ, এলএলবি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফ্যাশন ডিজাইনসহ বিভিন্ন বিষয়ের, অনার্স, মাস্টার্সের বিপুল সংখ্যক জাল সনদ জব্দ করে র‌্যাব। র‌্যাবের গোয়েন্দা অভিযানে জানা যায়, মাত্র ১৩ হাজার টাকায় স্নাতক সনদ বিক্রি করে প্রতিষ্ঠানটি।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০০৬ খ্রিস্টাব্দের ২২ অক্টোবর এই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেয় সরকার। এর বিরুদ্ধে ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হাইকোর্টে একটি রিট করে। পরে আদালতে রিট আবেদন করে স্থগিতাদেশ নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছিল বিশ্ববিদ্যালয়টি। 

Sourse:দৈনিক শিক্ষা

এই বিভাগের আরও খবর