img

মির্জা আব্বাস বলেন, আফরোজা আব্বাসের গাড়ি ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। গাড়ির ছাদে উঠে নাচানাচি করেছে। ড্রাইভারকে মেরে আহত করেছে। তাকে এখন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হামলার পর আফরোজা আব্বাস একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে৷ সেখানে পুলিশ যাচ্ছে না৷আফরোজা আব্বাসের উপর আওয়ামী লীগ হামলা চালিয়েছে দাবি করে ঢাকা-৯ আসনের বিএনপি প্রার্থী মির্জা আব্বাস তার সহধর্মিনী আফরোজা আব্বাসের প্রচারণায় হামলার বর্ণনা দিয়েছেন।

নিজ আসনে প্রচারণার সময় তিনি বলেন, আমার স্ত্রী নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছে৷ কিন্তু তার উপর হামলে পড়েছে সন্ত্রাসীরা। বর্বর আক্রমন চালানো হয়েছে। কদমতলায় প্রথমে হামলা হয়। এরপর মাদারটেকে বর্বর হামলা হয়।৷ মেয়েদের চুল ধরে টানটানি করেছে, কাপড় ধরে টানাহেঁচড়া করেছে। মাদারটেক যাওয়ার পর তাদেরকে একটি সার্কেল করে জিম্মি করে ভাড়াটিয়ারা।পুলিশের সামনেই সন্ত্রাসীরা আফরোজা আব্বাসের গাড়িতে হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

ঢাকার এই হেভিওয়েট প্রার্থী বলেন, এই হামলা আওয়ামী লীগ চালিয়েছে। এটি কোনো রাজনীতিক আচরণ নয়। আজকের প্রচারণায় রেসপন্স হলো হামলা। ভয় পেয়ে এই হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ। প্রথমে আমাদের প্রার্থীতা ঠেকানোর চেষ্টা করে তারা ব্যর্থ হয়। এখন জনগণের কাছে যেতে দিচ্ছে না। ভোটারদের কাছে যেতে বাধা দিচ্ছে। এভাবে হামলা করা অবশ্য আওয়ামী লীগের পুরনো অভ্যাস।

মির্জা আব্বাস বলেন, আমি সারাদিন পরিশ্রম করে যতোটা ভোটারদের মন জয় করতে পারতাম তাদের হামলার ফলে আরো সহানুভূতি বেড়ে যাবে। এটি তাদের জন্য হিতে বিপরীত হবে। ভোটারেরা যেন ভোট কেন্দ্রে যেতে না পারে এবং আমরা যেন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াই তারা সেই চেষ্টা করছে। কিন্তু নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হোক বা না হোক আমরা আছি। আমরা ভোটে টিকে থাকবো।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। কিন্তু আমরা অস্ত্রের যুদ্ধে যাবো না৷ আমরা জনগণের কাছে যাবো। ভোটের যুদ্ধে যাবো। ভোটযুদ্ধে তাদেরকে পরাজিত করবো।বুধবার ঢাকা ৮ আসনে বিএনপির প্রার্থী মির্জা আব্বাস, ঢাকা ৯ আসনে আফরোজা আব্বাস এবং ঢাকা ১১ আসনে শামীম আরা বেগম ছাড়া আর তেমন কাউকে নির্বাচনী প্রচারণায় দেখা যায়নি।

এই বিভাগের আরও খবর