img

নির্বাচন কমিশনে আপিল করেও প্রার্থিতা ফিরে পেলেন না কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। ঋণখেলাপির অভিযোগ রিটার্নিং কর্মকর্তা তার প্রার্থিতা বাতিল করেন।  

 

শনিবার নির্বাচন ভবনে কাদের সিদ্দিকীর আপিল শুনানি শেষে কমিশন তার মনোনয়নপত্র অবৈধ বলে ঘোষণা করে।
কাদের সিদ্দিকী এবার টাঙ্গাইল-৪ ও ৮ আসন থেকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের হয়ে লড়তে চেয়েছিলেন। তবে প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যাওয়ায় তার মেয়ে কুঁড়ি সিদ্দিকী টাঙ্গাইলের একটি আসনে লড়বেন।

আপিলে প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যাওয়ার পর তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের যেসব পরিপত্র আছে আমি সেগুলো মেনে অগ্রণী ব্যাংকে টাকা জমা দিয়েছি। আমি বলেছিলাম কত টাকা দিলে এই হিসাবটা নিয়মিত হবে এবং আমি নির্বাচনে দাঁড়াতে পারব? নির্বাচন কমিশনের কাছে বলেছি- যারা ব্যাংক থেকে টাকা নিয়েছে তারা সামান্য টাকা দিলেও রিশিডিউল হয়েছে। কিন্তু আমি ত্রিশ-চল্লিশ ভাগের বেশি টাকা দিয়ে দিয়েছি, তারপরেও আমার একমাত্র কোম্পানি যেটা মুক্তিযুদ্ধের পর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছিল, সেই কোম্পানিকে কেন বারে বার নাজেহাল করা হচ্ছে। আমার আইনজীবী সেদিন ব্যাংকে গিয়েছিলেন, ব্যাংকের এমডি বলেছেন- বোঝেন তো উপরের চাপ আছে।’

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বলেন, ‘আজ আমি আশা নিয়ে এখানে এসেছিলাম, কেন জানি সেটা পেলাম না। এক দেড়শ আপিল একজন কমিশনার নিষ্পত্তি করেছেন, কিন্তু খালেদা জিয়ার ব্যাপারেও ব্যতিক্রম হয়েছে। এখানে বিভক্তি দেখলাম, ভেবেছিলাম ইলেকশন কমিশন ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, কিন্তু মনে হচ্ছে কোথায় যেন একটা গ-গোল আছে। দেশটা সর্বক্ষেত্রে বিভক্ত হয়ে গেছে।’

এর আগে শুনানির সময় কমিশনকে উদ্দেশ্য করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি আমার সব কথা আপনাদের বললাম। আপনারা যে রায় দেবেন সেই রায় আমি মেনে নেব।’ এসময় কমিশন তার আবেদন নামঞ্জুর করলে তিনি বলেন, ‘ধন্যবাদ।’

Sourse: (ঢাকাটাইমস)

এই বিভাগের আরও খবর