img

আইসিসি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বেশ কয়েকবার হাফিজের বোলিং অ্যাকশন অবৈধ ঘোষণা করেছিল। প্রতিবারই নিজস্ব বোলিং ভঙ্গি নিয়ে ফিরে এসেছেন পাকিস্তানি অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজ। এবার আর ফিরে আসছেন না। ক্রিকেটটাকে স্থায়ীভাবেই বিদায় বলে দিতে যাচ্ছেন।

সব ধরনের ক্রিকেট নয়, টেস্ট ক্রিকেটকে। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ব্যাট আর বল তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পাকিস্তানের এই ক্রিকেটার। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলতি আবু ধাবি টেস্টের পরই এই ফরম্যাটে না খেলার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে ফেলেছেন হাফিজ। জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক ইনজামাম-উল হককে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে, সীমিত ওভারের ক্রিকেটেই মনযোগি হতে চান তিনি।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলতি আবুধাবি টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে মোহাম্মদ হাফিজ ঘোষণা দেন তার অবসরের। সেখানে তিনি বলেন, ‘আজ আমি আপনাদের সামনে টেস্ট ম্যাচ ফরম্যাট থেকে আমার অবসরের ঘোষণা দিতে এসেছি। সুতরাং, এরপর থেকে আমি সীমিত ওভারের ক্রিকেটেই সবচেয়ে বেশি মনযোগি হবো।’

হাফিজ বলেন, ‘আগামী বছর আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের দিকেই আমি নজর ফেরাতে চাই। দেশের হয়ে আমি ৫৫টি টেস্টে নিজেকে উপস্থাপন করতে পেরেছি, এ জন্য নিজেকে সম্মানিত বোধ করছি। একই সঙ্গে দলের নেতৃত্বও দিয়েছি। আমি খুবই সন্তুষ্ট যে, ১৫ বছর দীর্ঘ ক্যারিয়ারে নিজের সামথ্যের সেরাটা দিয়ে দেশের জন্য খেলার চেষ্টা করেছি।’

তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আগামী সিরিজে আমি দেশের সাফল্য কামনা করছি। আর এই দলটিও রয়েছে তাদের সেরা সময়ে। টিম ম্যানেজমেন্ট, বিশেষ করে কোচ এবং অধিনায়ক খুব কঠিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। যেন তারা একটি অসাধারণ দল তৈরি করতে সক্ষম হন। যারা দীর্ঘদিন এই দলটিকে সার্ভিস দিয়ে যাবে।’

পিসিবি চেয়ারম্যান এহসান মানি পাকিস্তানের টেস্ট ক্রিকেটে হাফিজের অবদান স্মরণ করে তার প্রতি সহানুভুতি জানান। টুইটারে তিনি লিখেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে তোমার ভুমিকা দীর্ঘদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’

২০০৩ সালে করাচিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে মোহাম্মদ হাফিজের। এরপর থেকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলতি টেস্ট পর্যন্ত ক্যারিয়ারে মোট ৫৫ টেস্ট খেলছেন মোহাম্মদ হাফিজ। এই ৫৫ টেস্টে ৩৭.৯৫ গড়ে রান করেছেন ৩৬৪৪। সেঞ্চুরি ১০টি, হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ১২টি। সেরা ইনিংস ২২৪ রান। উইকেট নিয়েছেন ৫৩টি। সেরা বোলিং ১৬ রানে ৪ উইকেট। ক্যাচ ধরেছেন ৪৫টি।

এই বিভাগের আরও খবর