img

জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের চেয়ে তার স্ত্রী দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদের নগদ অর্থের পরিমাণ প্রায় ৯২ গুণ বেশি। এরশাদের হাতে নগদ রয়েছে ২৮ লাখ ৫৩ হাজার ৯৯৮ টাকা। রওশন এরশাদের হাতে রয়েছে ২৬ কোটি ২০ লাখ ২৯ হাজার ২৩৩ টাকা। রিটার্নিং অফিসারের কাছে দাখিল করা হলফনামা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ ও রংপুর-৩ আসনের প্রার্থী হতে গত বুধবার সংশ্লিষ্ট এলাকার রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন এরশাদ। এর সঙ্গে দাখিল করা হলফনামায় নিজের ও স্ত্রীর ওই অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব দেখিয়েছেন এরশাদ। হলফনামায় সাবেক এ রাষ্ট্রপতির শিক্ষাগত যোগ্যতায় লেখা হয়েছে বিএ পাস।

ব্যাংক ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জাপা চেয়ারম্যানের ৩৭ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬ টাকা জমা রয়েছে। শেয়ার মার্কেটে তার ৪৪ কোটি ১০ হাজার টাকা রয়েছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে দেওয়া হলফনামায় দেখা যায়, ব্যবসা বাবদ এরশাদের আয় ছিল ৬২ হাজার ৯৫০ টাকা। এবার ব্যবসা বাবদ আয় উল্লেখ করা হয় ২০ লাখ ৬ হাজার ৫০০ টাকা।
তবে তিনি রাষ্ট্রীয় বিশেষ দূত হিসেবে বাৎসরিক সম্মানী পান ১৯ লাখ ৪ হাজার ৬৯৬ টাকা। এ ছাড়া সংসদ সদস্য হিসেবে বাৎসরিক সম্মানী পান ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকা। আর ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ থেকে সম্মানী পান ৭৪ লাখ ৭১ হাজার ১০ টাকা।

এরশাদের হলফনামায় দেখা গেছে, তার বিরুদ্ধে বর্তমানে ৬টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে, যার ৫টিই দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে। এসব মামলার দুটি বিচারাধীন, বাকিগুলোর কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আগে আরও ২৭টি মামলা ছিল। এর মধ্যে ১৩টিতে তিনি খালাস পেয়েছেন, ৬টিতে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, ৪টিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে, তিনটি নিষ্পত্তি ও একটি প্রত্যাহার করা হয়েছে।

স্ত্রী রওশন এরশাদের নামে ১০০ ভরি স্বর্ণ ও অন্যান্য মূল্যবান ধাতুর অলঙ্কার রয়েছে। এরশাদের ব্যবসায় মূলধন রয়েছে ১২ লাখ ৫১ হাজার ১৫৪ টাকা। জমি বিক্রয় মূল্য রয়েছে ২৫ কোটি ৪০ হাজার টাকা। নিজ নামে ৯ কোটি ২০ লাখ টাকার এফডিআর ও ৯ লাখ টাকার ডিপিএস রয়েছে। স্ত্রীর নামে ৩ কোটি ২ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ টাকা রয়েছে। এ ছাড়া স্ত্রীর নামে সেভিংস ৬০ লাখ, সেভিংস স্কিম ৪ কোটি ৩৮ লাখ ৩৪ হাজার ৫১৭ টাকা ও বিভিন্ন স্থানে বিনিয়োগ রয়েছে ২৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এরশাদের নিজের নামে দুটি ল্যান্ড ক্লোজার জিপ, একটি নিশান কার রয়েছে। আর স্ত্রীর নামেও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের তিনটি গাড়ি রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকে জমা অর্থের পরিমাণ ৩৭ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬ টাকা।

স্থাবর সম্পদের মধ্যে দেখানো হয়েছে নিজের নামের কৃষি জমি না থাকলেও স্ত্রীর নামে রংপুর ৩৩ লাখ টাকার ৫০ শতাংশ এবং ঢাকার পূর্বাচলে ১৮ লাখ টাকার সাড়ে ৭ কাঠা জমি আছে। বনানীতে নিজের নামে ৭৭ লাখ টাকার শপিং কমপ্লেক্স আছে। বারিধারায় ৬২ লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাট, বনানীতে ৪৯ লাখ টাকার একটি ফ্ল্যাট এবং গুলশানে ৬২ লাখ টাকার একটি ফ্ল্যাট আছে। আর স্ত্রী নামে গুলশানে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা মূল্যের ফ্ল্যাট ও গুলশান মডেল টাউনে ৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার জমি দেখানো হয়েছে। ইউনিয়ন ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে ঋণ আছে ২ কোটি ৩২ লাখ ৪ হাজার ৬৩৫ টাকা।

Sourse: dainikamadershomoy

এই বিভাগের আরও খবর