img

 মালয়েশিয়ার অন্যতম রাজনীতিবিদ আনোয়ার ইব্রাহীম বলেছেন, বর্ণবাদের বাহিরে গিয়ে গরীব নাগরিকদের সহায়তা করার জন্য মালয়েশিয়ার বর্ণান্ধ নীতি গ্রহণ করা প্রয়োজন।

পোর্ট ডিকসনের এই আইনপ্রণেতা বলেন, পোর্ট ডিকসন একটি ভ্রমণ কেন্দ্র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে না পারায় এখানকার জেলে সম্প্রদায় এবং আবাসন ব্যবসায়ীরা তাদের জীবনযাত্রায় রীতিমত যুদ্ধ করছেন।

তিনি বলেন, ‘তারা শুধুমাত্র মালয় বংশোদ্ভূত নন, বরং এখানে চীনা এবং ভারতীয় জনগণও রয়েছেন।’

‘গত সপ্তাহে ২০১৯ সালের বাজেট আলোচনায় আমি এসব জেলে, কৃষক এবং ছোট ব্যবসায়ীদের নিয়ে আলোচনা করেছিলাম এবং তারা আমার চিন্তায় অবস্থান করছিল।’

আনোয়ার চলতি মাসের ২৫ তারিখে এক বিবৃতিতে বলেন- ‘এখন প্রয়োজন হচ্ছে দারিদ্র্যতা দূর কারার জন্য এমন একটি পদক্ষেপ হাতে নেয়া যা হবে বর্ণান্ধ। এটি হতে হবে একটি জাতীয় উদ্যোগ যা একই সাথে হবে মানবিক এবং বর্ণবাদের বাহিরে গিয়ে, এর মাধ্যমে তাদের সাহায্য করা দরকার যাদের সত্যিকার অর্থেই সাহায্যের প্রয়োজন।’

আনোয়ার বলেন, তিনি বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে কাজ করে যাচ্ছেন যা শুধুমাত্র কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ থাকবে না বরং তা প্রাত্যহিক বাস্তবতার সাথে মিল থাকবে।

এই আইন-প্রণেতা আরো বলেন, ‘আমি বৈষম্য বিরোধী একজন এবং আমি সকল মানুষের জন্য সমতায় বিশ্বাস করি।’

‘আমার ভালোবাসায় এবং সম্মানে মালয় এবং মুসলিমদের মধ্যে সবাই সমান, কেউই বিশেষ নয়।’

আনোয়ার এসময় মালয়েশিয়ার বিখ্যাত লেখক এবং ভাষা-তাত্ত্বিক জায়নাল আবেদিন আহমেদ এবং মালয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক তাকে সম্মানিত করার কথা স্মরণ করেন।

চলতি মাসের ২৩ তারিখ শুক্রবারে মালয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত ‘Malays and Muslims in the New Malaysia Era’ নামক আলোচনা সভায় আনোয়ার ইব্রাহীম এসব কথা বলেন।

তার বক্তব্যে আনোয়ার বলেন, জায়নাল আবেদিন আহমেদ ছিলেন তার সময়ের চাইতে এগিয়ে যাওয়া মানুষদের একজন। তিনি কোনো রকম ভয় ভীতি ছাড়াই তার জাতির নেতাদের সমালোচনা করতেন যাদেরকে লোকজন অন্ধভাবে অনুসরণ করত।

তিনি বলেন, ‘কয়েক দশক পরেও এই দৃশ্যের পরিবর্তন হয়নি। বর্তমানে এখানে এমন লোকজন রয়েছে যারা ইসলামিক আইনের বাস্তবায়ন চায় কিন্তু তারা কিছু মুসলিম নেতা কর্তৃক বিলিয়ন বিলিয়ন রিঙ্গিত(মালয়েশিয়ার মুদ্রা) চুরি হয়ে যাওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চান।’

আনোয়ার ইব্রাহীম বিশ্বাস করেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের ভেতরে জ্ঞান সাধনা জাগ্রত করা যা একই সাথে তাদের আনন্দ দিবে এবং তাদের চেতনা জাগ্রত করবে। শিক্ষা শুধুমাত্র সনদ অর্জন বা চাকরি পাওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়।

‘বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের শুধুমাত্র তথ্য এবং জ্ঞান বিতরণ করেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয় বরং শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রজ্ঞা নিয়ে আসে এর উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।’

‘এটি শুধুমাত্র তখনই সম্ভব যখন বাস্তব অভিজ্ঞতার সাথে নৈতিক উৎকর্ষ এবং নীতির সংযুক্তি ঘটবে।’- শেষে তিনি এমনটি বলেন।

সূত্রঃ দ্যা স্টার ডট কম।

এই বিভাগের আরও খবর