img

লাক্স-চ্যানেল আই তারকা আজমেরি হক বাঁধন মরণোত্তর চক্ষুদান করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রোববার (২৫ নভেম্বর) সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির ৩৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে জনপ্রিয় এই তারকা এ সিদ্ধান্ত নেন। দেশ থেকে অন্ধত্ব দূর করতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে  জানান বাঁধন।

স্বেচ্ছায় মরণোত্তর চক্ষুদান প্রসঙ্গে বাঁধন  বলেন, আমি স্টুডেন্ট লাইফে নিয়মিত রক্তদান করতাম। সন্ধানীতে রক্তদানের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। যখন থেকে বুঝতে শিখেছি, মানুষের বিপদে সবসময় চেষ্টা করি পাশে দাঁড়াতে।

বাঁধন ডেন্টাল কলেজ থেকে পড়েছেন। ওই কলেজের শিক্ষক ডাঃ জয়নাল আবেদিন সন্ধানী চক্ষুদান সমিতির সঙ্গে যুক্ত। দুই বছর বাঁধন নিজেও বর্তমানে বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটির কার্য্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচিত সদস্য।

এ বিষয়ে বাঁধন বললেন, স্যারের মাধ্যমে চক্ষুদান সমিতি সম্পর্কে জেনেছি। তবে চক্ষুদান করবো এটা কখনো ভাবিনি।

শিক্ষকের অনুপ্রেরণায় চোখ দানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মনে হয়েছে, আমি ঠিক করেছি। মানুষের জন্য কিছু একটা করতে পারছি।

বাঁধন আরও বলেন, আমার কাজ, কথা কিংবা শরীরের কোনো অঙ্গ মৃত্যুর পর যদি কারও মাঝে বেঁচে থাকে। সে অনেক বড় প্রাপ্তি।

আমি এখন এডাল্ট। নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে পারি। আমার পারিবারিক শিক্ষা ছিল সবসময় যেন মানুষের উপকার করি। চোখদান মানুষের জন্য অনেক অবদান। সর্বশ্রেষ্ঠ দানের মধ্যে একটি। মারা যাওয়ার পর আমার চোখ দানের সিদ্ধান্ত বাবা-মা খুব ভালোভাবে নিয়েছে। গতকাল যখন আমি এই সিদ্ধান নিয়ে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।

বাঁধন মনে করেন, মানুষ অবিনশ্বর নয়। তাকে আজ হোক কিংবা কাল, থামতেই হবে। মৃত্যুর পর তার দুটি চোখ দিয়ে যদি কেউ এই সুন্দর পৃথিবীটা দেখতে পারে তবে কেন নয়! তিনি বলেন, আমার দেশের শিল্পীদের এই বিষয়ে একটু নজর দেবেন। এটা খুব দরকার। এই মরণোত্তর চক্ষুদান একদমই স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম। এর সঙ্গে অর্থের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

মুন্সীগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরের মেয়ে বাঁধন বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ থেকে বিডিএস পাশ করেন এবং ২০০৬ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপার স্টার প্রতিযোগিতায় রানার আপ হন।

Sourse: চ্যানেল আই

এই বিভাগের আরও খবর