img

আসন্ন জতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য (এমপি) হতে দলীয় মনোনয়নপত্র  সংগ্রহ করেছে ছোট-বড় রাজনৈতিক দলের প্রায় ১৩ হাজার প্রার্থী। আর এসব মনোনয়নপত্র বিক্রির মাধ্যমে দলগুলো আয় করেছে প্রায় ৩৩ কোটি টাকা।

মনোয়নপত্র বিক্রি শুরু হওয়ার প্রথম দিন থেকেই উৎসবমূখর পরিবেশ তৈরি হয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কার্যালয়ের সামনে।  
দলীয় নেতা-কর্মীদের ঢল নামে ধানমন্ডি ও পল্টন এলাকায়। আ. লীগের ধানমন্ডি কার্যালয় এলাকায় যান চলাচল অনেকটাই বন্ধ হয়ে যায়। একি অবস্থা তৈরি হয় বিএনপি’র দলীয় কার্যালয় পল্টন এলাকায়। 

মনোনয়নপত্র বিক্রির হিসাব অনুযায়ী, প্রতিটি সংসদীয় আসনে গড়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ১৩ জন, বিএনপির ১৫ জন ও জাতীয় পার্টির ৯ জন প্রার্থী। 
 
সূত্র মতে, এবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ২৩টি। প্রতিটি মনোনয়নপত্রের দাম ৩০ হাজার টাকা; সে হিসাবে দলটি মনোয়নপত্র বিক্রি করে আয় করেছে ১২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। এদিকে বিএনপি মনোনয়নপত্র বিক্রিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে ছাড়িয়ে যায়। সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে দলটির ৪ হাজার ৫৮০ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী ফরম কিনেছেন। 

মনোনয়নপত্র কেনার সময় নেতাদের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা এবং জমা দেওয়ার সময় আরও ২৫ হাজার টাকা নিয়েছে বিএনপি। এ খাত থেকে দলটির আয় হয়েছে ১৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। প্রতি আসনে দলটির মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রায় ১৫ জন। তবে কী পরিমাণ মনোনয়নপত্র জমা পরেছে তার সঠিক হিসাব পাওয়া যায় নি। 
 
দলীয় সূত্র জানায়, এবার হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টিও (জাপা) মনোনয়ন বিক্রিতে রেকর্ড গড়েছে। দেশজুড়ে জাপার ২ হাজার ৮৬৫ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। 

মনোনয়নপত্রের দাম ২০ হাজার টাকা করে নিয়েছে জাপা। গড়ে প্রতিটি আসনে জাপার প্রার্থী ৯ জন। দলটি বলছে, এ খাতে দলটির আয় হয়েছে ৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। 

এছাড়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের উদ্যোক্তা ও শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের গণফোরামের মনোনয়নপত্র কিনেছে ৩৫০জন মনোনয়ন প্রত্যাশী। প্রতি মনোনয়নপত্রের দাম ৫ হাজার টাকা হিসাবে এবার দলটির আয় হয়েছে ১৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকা।
 
২ হাজার টাকা করে মনোনয়নপত্র বিক্রি করেছে জাসদ (ইনু)। জাসদের মনোনয়নপত্র কিনেছেন ২৪৩ জন। সে হিসাবে আয় হয়েছে ৪ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।
  
এবার নির্বাচনে অংশ নিতে আ স ম রবের দল জেএসডি থেকে ৫৪৭টি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। ৫ হাজার টাকা করে দলটির আয় করেছে ২ লাখ ৭৩ হাজার ৫০০ টাকা। 

এছাড়াও সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিকল্পধারার প্রতিটি মনোনয়নপত্রের দাম ২০ টাকায় কিনেছেন ১৫০ জন নেতা। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ৬০টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে। প্রতিটির দাম ১০ হাজার টাকা হওয়ায় এ খাত থেকে দলটির আয় হয়েছে ৬ লাখ টাকা।

এই বিভাগের আরও খবর